সংগঠনের বৈশিষ্ট্য লেখো।

সংগঠনের বৈশিষ্ট্য :

সংগঠনগুলির কার্যকারিতা ও গঠনগত দিকের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা হয়। এই বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ- * প্রথমত, বৃহৎ আকৃতি: সংগঠনগুলি আকৃতিতে অনেক বৃহৎ হয়। সংগঠনের কর্মীসংখ্যা, পুঁজির পরিমাণ, অঞ্চলগত বিস্তৃতি প্রভৃতির পরিমাণ বৃহৎ হয়।

* দ্বিতীয়ত, জটিলতা: সংগঠনগুলি অতিরিক্ত অর্থবিনিয়োগ করায় এবং জটিল প্রযুক্তিনির্ভর হওয়ায় তাদের পরিচালন ব্যবস্থা ও কার্যপ্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিলতায় পর্যবসিত হয়েছে। বর্তমানে মিলিতভাবে এবং সমবায় ভিত্তিকভাবে সংগঠনগুলির কার্য পরিচালনা করা হয়।

* তৃতীয়ত, উদ্দেশ্যসাধন প্রত্যেক সংগঠনের কিছু নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকে। এই উদ্দেশ্যগুলিকে সামনে রেখে সংগঠনের সমস্ত কাজ পরিচালনা করা হয়। সংগঠনের এই উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য পারস্পরিক সমর্থন বা বোঝাপড়ার মাধ্যমে পূরণ হয়।

→ চতুর্থত, ধারাবাহিকতা সংগঠনের নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা আছে। এই ধারাবাহিকতা গড়ে ওঠে কর্তৃপক্ষ এবং সাধারণ কর্মীর পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে। * পঞ্চমত, স্তরভিত্তিক গঠন প্রণালী প্রত্যেক সংগঠনের পরিচালন ব্যবস্থায় বিভিন্ন স্তরে কার্য সম্পাদন হয়ে থাকে। সংগঠনের মধ্যে নিয়মশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য, কার্যসম্পাদনের জন্য, যোগাযোগ ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক রাখার জন্য এককথায় সংগঠনের মধ্যে স্বাভাবিকতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে বিশেষ স্তরভিত্তিক আদেশ মানা করা হয়। সবক্ষেত্রেই সংগঠনের উচ্চস্তরের মানুষের আদেশ অধঃস্তন বা অনুগত কর্মীরা মেনে চলে।

* ষষ্ঠত, পৃথক্করণ সংগঠনের বিভিন্ন ও বিচিত্র কাজের সুষ্ঠ পরিচালনার জন্য কাজের পৃথক্করণ প্রয়োজন। সংগঠনের সমগ্র কাজকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে প্রত্যেকটি বিভাগের দায়িত্ব কিছু নির্দিষ্ট কর্মীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। কর্মীরা সেই নির্দিষ্ট কাজ সম্পর্কে সচেতন থাকে।

• সপ্তমত, সচেতন যুক্তিবাদী মানসিকতা সংগঠনের অভ্যন্তরে সদস্যদের আচার-আচরণ ও কার্যকলাপ নির্দিষ্ট নিয়ম দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকে। সংগঠনের কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীবৃন্দ সকলেই একটি যুক্তিবাদী সচেতন মানসিকতার পরিচয় বহন করেন। * অষ্টমত, সমন্বয়সাধন: সংগঠনের প্রতিটি বিভাগের কর্মীরা স্বাধীনভাবে নিজেদের কাজ করে থাকে। তাই সংগঠনের সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে প্রত্যেকটি বিভাগের মধ্যে সমন্বয়সাধনের দরকার হয়। প্রতিটি বিভাগীয় প্রধানরা নিজ নিজ বিভাগের অভ্যন্তরে সমন্বয়সাধন করেন। প্রতিটি বিভাগীয় প্রধান সংগঠনের সাথে যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে সংগঠনের স্বাভাবিক কাজকর্মের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন।

Share
Scroll to Top

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading