আন্দোলনের ইতিহাস শুরুর দিকে
দেশ স্বাধীন হলো 1947 সালে। অযোধ্যার শ্রী রাম জন্মভূমিতে রামলালা বিরাজমান হলেন (12-13 ডিসেম্বর, 1949) তৎকালীন প্রশাসন শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিলো। হিন্দুসমাজ আদালতে যায়। রাম চবুতরা ও সীতা রসুইয়ে পূজার আরজি নিয়ে। যা এতদিন চলে আসছিল। আদালত তাদের প্রার্থনা অনুমোদন করেন। শ্রী রামের নিত্য পূজা শুরু হয়।
এর পরের বছর (1950 সাল) গোপাল সিংহ বিশারদ আদালতে যান আর্জি নিয়ে যে কেউ যদি রামলালার দর্শন, পূজা ও আরতী করতে আসে তাহলে কোন ব্যক্তিত্ব বা প্রশাসন যেন বাঁধা না দেয়। এর ফলে ব্যবস্থাপনার জন্য একজন প্রশাসনিক কর্তা নিযুক্ত হন। নির্মোহী আখড়া (1959) আদালতে দাবি তোলে যে তাদের শ্রীরাম জন্মভূমির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হোক সরকারি ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে।এরপর (1961 সালের
18 ডিসেম্বর) উত্তর প্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড আদালতে যান তিন গম্বুজ যুক্ত ধাচাকে সর্বজনীন মসজিদ বলে ঘোষণা করার দাবি নিয়ে।
এরকম একটা মাহেন্দ্রক্ষণ (1964) শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী তিথিতে সন্দীপন আশ্রম ও সাধনালয়ে বিশ্বহিন্দুপরিষদের স্থাপনা হয়। বিশ্বহিন্দুপরিষদেরস্থাপনাওহিন্দুশক্তিজাগরণ ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
উত্তর প্রদেশের মোজাফফরপুর শহরে (1983) প্রথম হিন্দু সম্মেলন আয়োজিত হয়।হিন্দু নেতারা ( বিশেষ করে দাউ দয়াল খান্না) জনতাকে আহবান জানান অযোধ্যা, মথুরা ও কাশির মন্দির গুলিকে পুনরুদ্ধারের জন্য।এরপরই সন্তদের প্রথম ধর্মসংসদ সম্মেলন ( 1984 7-8 এপ্রিল) হয় দিল্লিতে। সেই সভায় সর্বপ্রথমশ্রীরামজন্মভূমিকে মুক্ত করার ডাক দেওয়া হয়।
এরপর শুরু হয় জন-জাগরনের কর্মসূচি।সর্বপ্রথমে মুখ্য কর্মসূচি রাখা হয় শ্রীরামজন্মভূমিতে লাগানো তালা খুলতে হবে এবং হিন্দু-সমাজকে অবাধে পূজা ও আরতির সুযোগ দিতে হবে। সীতামাঢ়িতে রাম-জানকী রথের পূজন হয়। এই রাম জানকী রব আনা হয় ( ১৯৮৪ , ৭ অক্টোবর) অযোধ্যার নদীতটে। রথকে সামনে রেখে হাজার হাজার রামভক্ত হাতে সরযু নদীর পূর্ণ বারি নিয়ে শপথ নেন, “শ্রীরামজন্মভূমিকে মুক্ত করবেন, প্রয়োজনে প্রাণ দেবেন কিন্তু রামলালাকে দুর্দশা (বন্দি আছেন) থেকে মুক্ত করবেন।
।
বিজেপির হিন্দু নেতারা বলতেন, ভারতে তাদের ভাষায় ধর্মনিরপেক্ষতার নামে খুব বেশি মাত্রায় আপোষ করা হয়েছে। তারা বলতেন, এখন সময় এসেছে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের কথা বলার ।
মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ বিজেপি অস্বীকার করতো, কিন্তু তাদের জনসভাগুলো থেকে লোকেরা ঠিক এই বার্তাটি নিয়েই ঘরে ফিরতো।