‘ভোরের পাখি’ বলা হয় কাকে ?
‘ভোরের পাখি’ বলা হয় বিখ্যাত বিহারী লাল চক্রবর্তী কে। তাঁকে এই নামটি দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
কে, কেন তাঁকে ‘ভোরের পাখি’ আখ্যা দিয়েছিলেন?
সংবাদ বিহারী লাল বহন করেছিলেন বলেই রবীন্দ্রনাথ তার কাব্য গুরু বিহারিলালকে ‘ভোরের পাখি’ আখ্যায় ভূষিত করেন ।
বিহারীলাল -এর ‘ভোরের পাখি’ রূপে আবির্ভাবের ঐতিহাসিক ক্ষনটিকে রবীন্দ্রনাথ সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন ,”বিহারীলাল তখনকার ইংরাজি ভাষায় নব্যশিক্ষিত কবিদিগের ন্যায় যুধ্বর্ণনা সঙ্কুল মহাকাব্য,উদ্দীপনাপূর্ণ দেশানুরাগমুলক কবিতা লিখলেন না,-তিনি নিভৃতে বসিয়া নিজের ছন্দে মনের কথা বলিলেন। তাঁহার সেই স্বগত উক্তিতে বিশ্বহিত, দেশহিত অথবা সভা-মনরঞ্জনের কোন উদ্দেশ্য দেখা গেল না।এই জন্য তাহার সুর অনন্ত রূপে হৃদয়ে প্রবেশ করিয়া সহজে পাঠকের বিশ্বাস আকর্ষণ করিয়া আনিল ।”
রেনেসাঁস যুগের তপ্ত যন্ত্রনা মধুসূদনের কাব্যে কবিব্যক্তিত্বের স্বচ্ছ প্রকাশকে আছন্ন করে ছিলো । আর বিহারীলাল-এর রচনাতে ‘সেই প্রথম বাংলা কবিতার কবির সুর’ ধ্বনিত হয়েছে। রেনেসাঁস যুগের পরস্পর বিরোধী কাব্যভাবনার অন্ধ আলোড়ন থেকে কবিসত্ত্বার এই মুক্তিতেই বাংলা কাব্যের যৌবনমুক্তি আভাসিত হয়েছে। যার জন্য বিহারীলাল আধুনিক গীতিকবিতার ক্ষেত্রে ‘ভোরের পাখি’ ।