‘বীরাঙ্গনা কাব্য’টি কার লেখা?
– ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’টি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তেরর লেখা।
বীরাঙ্গনা কাব্যটির বৈশিষ্ট্য-
মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বীরাঙ্গনা’ কাব্যটি বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সৃষ্টি। এই কাব্যটির দু’টি বৈশিষ্ট্য হলো:
বৈষ্ণব পদাবলীর প্রভাব:
‘বীরাঙ্গনা’ কাব্যে বৈষ্ণব পদাবলীর ধারার প্রভাব স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে। মধুসূদন দত্ত তার ভাষা এবং গদ্যশৈলীতে ঐতিহ্যগত বৈষ্ণব পদাবলীর প্রভাব বজায় রেখে কাব্যটি রচনা করেছেন, যা কাব্যের গভীরতা এবং আবেগপূর্ণ অভিব্যক্তি বাড়িয়ে তোলে।
নারীর বীরত্ব ও আত্মত্যাগ:
কাব্যটির কেন্দ্রীয় থিম হলো নারীর বীরত্ব ও আত্মত্যাগ। ‘বীরাঙ্গনা’ কাব্যটি একটি সাহসী নারীর কাহিনী নিয়ে রচিত, যিনি বিপদসংকুল পরিস্থিতিতে তার দেশ ও জাতির জন্য নিজের জীবন বাজি রাখেন। মধুসূদন দত্ত নারীর শক্তি ও সাহসিকতাকে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরেছেন এবং সেই সঙ্গে নারীর আত্মত্যাগের মহিমা বর্ণনা করেছেন।