আবর্তন কাকে বলে ?
যে অমাধ্যম অনুমানে একটি বচনের উদ্দেশ্যে ও বিধেয় কে ন্যায় সংগত ভাবে যথাক্রমে অন্য একটি বচনের বিধেয় ও উদ্দেশ্য পরিণত করা হয় , তাকে আবর্তন বলে ।
আবর্তনের ক্ষেত্রে হেতুবাক্য ( আশ্রয় বাক্য ) টিকে বলা হয় আবর্তনীয় এবং সিদ্ধান্ত টিকে বলে আবতিত ।
আবর্তনের নিয়মাবলী :–
ক) আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্যেপদ সিদ্ধান্তের বিধেয় হবে ।
খ) আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যেপদ হবে ।
গ) আশ্রয়বাক্যে ও সিদ্ধান্তের গুন অভিন্ন হবে ।
ঘ) যদি কোনো পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ হয় তবে তাকে আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ হতেই হবে ।
( A ) বচনের আবর্তন
” A ” সকল শিক্ষক হয় মানুষ ( আবর্তনীয় )
” I ” কোনো কোনো মানুষ হয় শিক্ষক ( আবর্তিত )
:– ” A ” বচনকে আবর্তন করে আমরা ” I ” বচন পাই ।
( E ) বচনের আবর্তন
“E” কোনো মানুষ নয় অমর । ( আবর্তনীয় )
E” কোনো অমর নয় মানুষ । ( আবর্তিত )
:- “E” বচনকে আবর্তন করে আমরা “E” বচন পাই ।
( I ) বচনের আবর্তন
” I ” কোনো মানুষ হয় শিক্ষক । ( আবর্তনীয় )
” I ” কোনো কোনো শিক্ষক হয় মানুষ । ( আবর্তিত )
:– ” I ” বচনকে আবর্তন করে আমরা ” I ” বচন পাই ।
( O )বচনের আবর্তন
” O” কোনো মানুষ নয় শিক্ষক । ( আবর্তনীয় )
” O” কোনো কোনো শিক্ষক নয় মানুষ । ( আবর্তিত )
:– O বচনকে আবর্তন করা যায় না ,
1)” A ” বচনকে আবর্তন করে আমরা ” I ” বচন পাই
2) “E” বচনকে আবর্তন করে আমরা “E” বচন পাই
3) ” I ” বচনকে আবর্তন করে আমরা ” I ” বচন পাই
4) O বচনকে আবর্তন করা যায় না