মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘চণ্ডীমঙ্গল’ কাব্যে যে সমস্ত নদ-নদীর নাম উল্লেখ আছে তা লেখো এবং উল্লিখিত দু’টি স্থানের নাম লেখো।
ANS- মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘চণ্ডীমঙ্গল’ কাব্যে উল্লেখিত নদ-নদীগুলোর মধ্যে প্রধান হলো গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী, গোদাবরী, এবং নর্মদা। স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কাঞ্চীপুর ও হংসেশ্বরী নগর। কাব্যের ভৌগোলিক বর্ণনায় প্রাচীন ভারতের নদী ও স্থানসমূহের গুরুত্ব প্রতিফলিত হয়েছে।
‘চণ্ডীমঙ্গল’ কাব্যের নায়কের বিবাহের ঘটক কে ছিল? তাকে তার পারিশ্রমিক হিসাবে কি কি দেওয়া হয়েছিল?
ANS- চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের নায়ক কালকেতুর বিবাহের ঘটক ছিলেন রুপচাঁদ। ঘটকালির পারিশ্রমিক হিসেবে তাকে গরু, ধান, চাল, পাট, মধু, ফল, এবং রূপোর মুদ্রা দেওয়া হয়েছিল। এই বিবরণ গ্রামীণ সমাজের ঐতিহ্যবাহী বিয়ে-পদ্ধতির প্রতিফলন, যেখানে ঘটকের ভূমিকা ও পারিশ্রমিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
লখীন্দরের বাসর ঘর কে, কি দিয়ে নির্মাণ করেছিল? সেটির নিরাপত্তা বিধান কিভাবে করা হয়েছিল?
ANS- লখীন্দরের বাসর ঘর নির্মাণ করেছিলেন বেহুলার পিতা সাঁই। ঘরটি লোহার পাত এবং শক্ত খড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। নিরাপত্তা বিধানের জন্য ঘরের চারপাশে তান্ত্রিক মন্ত্রপড়া সুরক্ষা বলয় তৈরি করা হয়েছিল। তবে মনসার প্রতারণায় বাসর ঘরে সাপ প্রবেশ করে লখীন্দরকে দংশন করে।
কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের ‘মনসামঙ্গল’ কাব্যে উল্লিখিত ছয়টি অপ্রধান চরিত্রের নাম লেখো।
ANS- কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের ‘মনসামঙ্গল’ কাব্যে উল্লিখিত ছয়টি অপ্রধান চরিত্র হলো: দেবী গৌরী, দেবরাজ ইন্দ্র, চাঁদ সদাগরের স্ত্রী সনকা, বেহুলার ননদ লাহানা, সাপুরে ধনন্তর, এবং মনসার সহচরী নেত্রা। এদের ভূমিকা কাব্যের ঘটনাপ্রবাহে পরিপূরক ও ঐশ্বরিক আখ্যানকে শক্তিশালী করে।
‘চৈতন্য ভাগবত’ গ্রন্থটি কবে রচিত হয়? গ্রন্থটির আদি নাম কি ছিল? নাম পরিবর্তনের একটি কারণ উল্লেখ করো।
ANS- চৈতন্য ভাগবত গ্রন্থটি ১৬শ শতকের প্রথমার্ধে বৃন্দাবন দাস রচিত করেন। এর আদি নাম ছিল ‘চৈতন্য মঙ্গল’। পরে লোচন দাসের একই নামের গ্রন্থ থাকায় বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য নাম পরিবর্তন করে ‘চৈতন্য ভাগবত’ রাখা হয়। এটি মহাপ্রভু চৈতন্যের জীবনী নিয়ে রচিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈষ্ণব ধর্মগ্রন্থ।
শ্রীচৈতন্যদেবের প্রথম পত্নীর নাম কি। ? তাঁর সঙ্গে শ্রীচৈতন্যদেবের পরিণয় কবে হয়? তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ কোথায় হয়?
ANS- শ্রীচৈতন্যদেবের প্রথম পত্নীর নাম ছিল লক্ষ্মীপ্রিয়া। তাঁদের পরিণয় হয় ১৫০৫ খ্রিস্টাব্দে। শ্রীচৈতন্যদেব ও লক্ষ্মীপ্রিয়ার প্রথম সাক্ষাৎ হয় নবদ্বীপে গঙ্গার ঘাটে। লক্ষ্মীপ্রিয়ার সঙ্গে চৈতন্যদেবের বিবাহ এক সাধারণ গৃহস্থ জীবনযাত্রার সূচনা করেছিল। পরে লক্ষ্মীপ্রিয়া সর্পদংশনে মারা যান।