বাংলা ভাষার উদ্ভবের ইতিহাস সংক্ষেপে আলোচনা করো।

বাংলা ভাষার উদ্ভবের ইতিহাস- বাংলা ভাষার উদ্ভবের ইতিহাস অত্যন্ত দীর্ঘ ও জটিল। এটি ভারতীয় আর্য ভাষার একটি শাখা এবং সংস্কৃত থেকে বিকশিত হয়েছে। বাংলা ভাষার ইতিহাসের মূল পর্যায়গুলোকে আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বে ভাগ করতে পারি। ১. প্রাকৃত যুগ (৩ শতক – ৭ শতক খ্রিস্টাব্দ) প্রথমে বাংলা ভাষা ভারতের প্রাকৃত ভাষার অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রাকৃত ভাষা ছিল … বিস্তারিত পড়ুন

Share

কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাব্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাব্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৩৪–১৮৯৯) বাংলা কবিতার এক গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক। তিনি বাংলা কবিতার মধ্যযুগের শেষভাগে এবং নবজাগরণের প্রারম্ভিক সময়ে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর কাব্য রচনার ধরন ছিল প্রধানত রোমান্টিক, তবে তার মধ্যে সাম্যবাদী চেতনা এবং মানবাধিকার প্রসারে প্রবণতা ছিল। রঙ্গলাল বাংলা সাহিত্যে বিশেষত কাব্য সাহিত্যে অন্যতম প্রভাবশালী কবি হিসেবে পরিচিত, এবং তাঁর … বিস্তারিত পড়ুন

Share

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ইতিহাসাশ্রিত নাটকগুলো নিয়ে একটি নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ লেখো।

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ইতিহাসাশ্রিত নাটক- দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (১৮৬৩–১৯১৩) ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ নাট্যকার ও গীতিকার। তিনি কাব্যনাট্য ও ইতিহাসাশ্রিত নাটকের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর নাটকগুলোতে আধুনিক বাংলা নাট্যের আধিক্য, নাট্যকলার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং ঐতিহাসিক ঘটনার চিত্রায়ণ গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। বিশেষভাবে তাঁর ইতিহাসাশ্রিত নাটকগুলোর মধ্যে যুগান্তকারী স্থান রয়েছে। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ইতিহাসাশ্রিত নাটকগুলো দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ইতিহাসাশ্রিত … বিস্তারিত পড়ুন

Share

বাংলা গদ্য সাহিত্যে রামমোহন রায়ের অবদান সম্পর্কে লেখো।

বাংলা গদ্য সাহিত্যে রামমোহন রায়ের অবদান রামমোহন রায় (১৭৭২–১৮৩৩) ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক অগ্রগামী রূপকার, যিনি প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতির পুনর্নিমাণের চেষ্টা করেছিলেন এবং পাশ্চাত্য সভ্যতার সাথে তার সংযোগ স্থাপন করেছিলেন। তাঁর অবদান বাংলা গদ্য সাহিত্যে অপরিসীম এবং আজও বাংলা সাহিত্যিক পরিমণ্ডলে তাঁর নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। রামমোহন রায় শুধু সাহিত্যিকই ছিলেন না, তিনি … বিস্তারিত পড়ুন

Share

উদাহরণসহ সংজ্ঞা লেখোঃ বর্ণবিপর্যয়, জোড়কলম, ঘোষীভবন, অভিশ্রুতি।

বর্ণবিপর্যয়– সংজ্ঞা: বর্ণবিপর্যয় বলতে এমন একটি পরিস্থিতিকে বোঝানো হয় যেখানে শব্দের মধ্যে বর্ণের পরিবর্তন ঘটে, যা ভাষার স্বাভাবিক নিয়মাবলী থেকে বিচ্যুতি। বাংলা ভাষায় কিছু শব্দে বর্ণবিপর্যয়ের উদাহরণ দেখা যায়। উদাহরণ: এটি সাধারাণত কথ্য ভাষার সহজীকরণের জন্য ঘটে থাকে। জোড়কলম– সংজ্ঞা: জোড়কলম একটি বিশেষ ধরনের ভাষাগত উপাদান যা দুইটি বা তার বেশি শব্দকে একত্রিত করে একটি … বিস্তারিত পড়ুন

Share

কামরূপী উপভাষার তিনটি করে ধ্বনিতাত্ত্বিক ও রূপতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য উদাহরণসহ আলোচনা করো।

কামরূপী উপভাষার তিনটি করে ধ্বনিতাত্ত্বিক ও রূপতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য কামরূপী উপভাষা বা কামরূপী বাংলা ভাষার এক বিশেষ উপভাষা, যা মূলত পশ্চিম আসামের কামরূপ অঞ্চলে প্রচলিত। এই উপভাষার ধ্বনিতাত্ত্বিক ও রূপতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যগুলি অন্যান্য বাংলা উপভাষার থেকে কিছুটা ভিন্ন। নিম্নে কামরূপী উপভাষার তিনটি করে ধ্বনিতাত্ত্বিক ও রূপতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য উদাহরণসহ আলোচনা করা হলো। ১. ধ্বনিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য (i) ‘অ’ ধ্বনির … বিস্তারিত পড়ুন

Share

সংক্ষিপ্ত আলোচনা করোঃ পথের দাবী, পথের পাঁচালী।

পথের দাবী লেখক: স্বরাজকুমারী দেবী।প্রকাশকাল: ১৯২৬। “পথের দাবী“ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি অনন্য উপন্যাস, যেখানে রাজনৈতিক সংগ্রাম ও বিপ্লবী জীবনের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের আত্মত্যাগ, দেশপ্রেম এবং সংগ্রামের গল্প এতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। বিপ্লবী সত্যেন এবং বীনাপাণির চরিত্রের মাধ্যমে দেশের প্রতি কর্তব্য এবং ব্যক্তিগত আবেগের সংঘর্ষ চিত্রিত হয়েছে। উপন্যাসটি সমকালীন রাজনীতিতে আলোড়ন … বিস্তারিত পড়ুন

Share

বাংলা প্রহসন রচনায় মধুসূদনের কৃতিত্ব আলোচনা করো।

বাংলা প্রহসন রচনায় মধুসূদনের কৃতিত্ব- মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব, যিনি বাংলা প্রহসন রচনায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। তাঁর রচিত প্রহসনসমূহ বাংলা নাট্যধারায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। বিশেষত, তাঁর দুটি প্রহসন— “একেই কি বলে সভ্যতা” এবং “বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ”—তাঁর প্রহসন রচনার অসাধারণ ক্ষমতা এবং সমাজ সচেতনতা প্রদর্শন করে। প্রহসন ধারার বৈশিষ্ট্য ও … বিস্তারিত পড়ুন

Share

বিহারীলাল চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কাব্য কোনটি? বাংলা কাব্যের ইতিহাসে এই কাব্যটির গুরুত্ব বুঝিয়ে দাও।

বিহারীলাল চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কাব্য কোনটি- বিহারীলাল চক্রবর্তী (১৮৩৫–১৮৯৪) বাংলা কাব্যের আধুনিক যুগে অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্য “সর্বসঙ্গ”। এটি ১৮৬৮ সালে প্রকাশিত হয় এবং বাংলা সাহিত্য জগতে এক নতুন ধারার সূচনা করে। “সর্বসঙ্গ” কাব্যগ্রন্থে প্রকৃতি, মানবমনের অনুভূতি এবং গ্রাম্যজীবনের সরলতা ফুটে উঠেছে, যা তাঁকে “বাংলার ওয়ার্ডসওয়ার্থ” অভিধায় ভূষিত করেছে। “সর্বসঙ্গ” কাব্যের বৈশিষ্ট্য: ১. প্রকৃতির প্রতি … বিস্তারিত পড়ুন

Share

বাংলা গদ্যের বিকাশে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের অবদান আলোচনা করো।

বাংলা গদ্যের বিকাশে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের অবদান- বাংলা গদ্যের বিকাশে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার (১৭৬২–১৮১৯) একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথমদিকের গদ্য রচয়িতা এবং প্রাচীন ধ্রুপদী গদ্যের পথিকৃৎ। তাঁর লেখনী বাংলা গদ্যকে একটি সুসংগঠিত রূপ প্রদান করে এবং বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণের সূচনা ঘটায়। মৃত্যুঞ্জয়ের সময় বাংলা গদ্যের প্রাথমিক রূপ ছিল অবিচ্ছিন্ন, জটিল ও অগোছালো। তাঁর অবদান এই … বিস্তারিত পড়ুন

Share