বাংলা গদ্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো

বাংলা গদ্যের বিকাশে “বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষার প্রথম যথার্থ শিল্পী ছিলেন। তৎপূর্বে বাংলা গদ্য সাহিত্যের সূচনা হইয়াছিল কিন্তু তিনিই সর্বপ্রথম বাংলা গদ্যে কলানৈপুণ্যের অবতারণা করেন”- রবীন্দ্রনাথ   ভূমিকা: পুণ্যশ্লোক মহাপুরুষর বিদ্যাসাগর ঊনবিংশ শতাব্দীর বিরাট বিস্ময়রূপে প্রতিভাত  হয়েছেন। সহজ সাবলীল ও গতিশীল বাংলা গদ্য ভাষা ও সাহিত্য সৃষ্টিতে তাঁর অবদান অসামান্য। তাঁর পূর্বে রামমোহন এবং ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অধ্যাপকগণ বাংলা গদ্য … বিস্তারিত পড়ুন

Share

সময়কাল অনুযায়ী বাংলা ভাষার যুগ বিভাগ কর। প্রত্যেক যুগের বাংলা ভাষার সাহিত্যিক নিদর্শনগুলির পরিচয় দাও।

সময়কাল অনুযায়ী বাংলা সাহিত্যের এই হাজার বছরের অধিক কালের ইতিহাস কে মনে রাখার সুবিধার্থে বা কালের প্রবাহ কে স্বীকার করে নিয়ে কয়েকটি যুগ বা প্রর্যায়ে ভাগ করে নিতে পারি। যদিও সাহিত্যের ইতিহাস সর্বত্র সাল তারিখের হিসেব স্পষ্ট যুগ বিভাগ করা যায় না। সাল তারিখ দেখে যুগের আরম্ভ হয় না, যুগের পরিসমাপ্তিও ঘটেনা। সাহিত্যকর্মের বৈচিত্র্যে ও … বিস্তারিত পড়ুন

Share

বর্ণ বিপর্যয়

বর্ণ বিপর্যয়- শব্দের মধ্যবর্তী দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি পরস্পর স্থান বিনিময় বা অদলবদল করে উচ্চারিত হলে তখন তাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলে। অর্থাৎ উচ্চারণের সময় মধ্যবর্তী দুটি ব্যঞ্জনধ্বনির স্থান পরিবর্তন করাকেই ধ্বনি বিপর্যয় বলে। ধ্বনি বিপর্যয়ের উদাহরণ হলো: চাকরি ˃ চারকি, লাফ ˃ ফাল, বাক্স ˃ বাস্ক, রিক্সা ˃ রিস্কা, পিশাচ ˃ পিচাশ, নকশা ˃ নশকা ইত্যাদি।

Share

ঔপন্যাসিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করো।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় মূলত উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। পথের পাঁচালী ও অপরাজিত তাঁর সবচেয়ে বেশি পরিচিত উপন্যাস। অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আরণ্যক, চাঁদের পাহাড়,আদর্শ হিন্দু হোটেল, ইছামতী ও অশনি সংকেত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। রবীন্দ্রনাথের জীবৎকালে যে বন্দ্যোপাধ্যায়-ত্রয়ীর আবির্ভাব বাঙলা কথাসাহিত্য জগতে নতুন যুগের সম্ভাবনা সূচিত করেছিল, তাদের মধ্যে বয়ােজ্যেষ্ঠ ছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই (বিভূতিভূষণ, তারাশঙ্কর ও … বিস্তারিত পড়ুন

Share

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ঐতিহাসিক নাটকগুলির নাম উল্লেখ করে এই ধারার নাটকে তাঁর কৃতিত্ব আলোচনা করো।

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রচিত কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে জীবদ্দশায় প্রকাশিত আর্যগাথা (১ম ও ২য় ভাগ) ও মন্দ্র বিখ্যাত। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের বিখ্যাত নাটকগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য একঘরে, কল্কি-অবতার, বিরহ, সীতা, তারাবাঈ, দুর্গাদাস, রাণা প্রতাপসিংহ, মেবার-পতন, নূরজাহান, সাজাহান, চন্দ্রগুপ্ত, সিংহল-বিজয় ইত্যাদি। ভূমিকা: বাংলা নাট্য সাহিত্যে মধুসূদন দীনবন্ধু, গিরীশচন্দ্র ঘোষের অবিস্মরণীয় অবদান বাংলা নাট্য ধারাকে বিপুল প্রসারী করে যে আবহমণ্ডল সৃষ্টি করেছিল … বিস্তারিত পড়ুন

Share

বাংলা কবিতায় কবি ঈশ্বরগুপ্তের অবদান সংক্ষেপে আলোচনা করো।

বাংলা কাব্যে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ তথা ভারতচন্দ্রের মৃত্যুর পর তেমন কোন পালাবদলের ইঙ্গিত বাংলা কাব্যসাহিত্যে ফুটে ওঠেনি। ভারতচন্দ্রীয় আদিরসের ফেনিল উচ্ছ্বাস, আর কবিওয়ালাদের উচ্চকিত উল্লাস বাংলা সাহিত্যে শুধুমাত্র সামান্য পরিবর্তনের রেশ এনেছিল। তারপর রঙ্গলাল এসে ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে সর্বপ্রথম নতুন কাব্যবস্তুর নান্দীপাঠ করলেন। মধুসূদন নতুন নতুন কুশীলব নিয়ে শুরু করলেন তাঁর রচনা। সেই … বিস্তারিত পড়ুন

Share

বাংলা গদ্য সাহিত্যে শ্রীরামপুর মিশনের ভূমিকা ও গুরুত্ব লেখো।

শ্রীরামপুর মিশনের ভূমিকা: বাংলা গদ্যের চর্চার ক্ষেত্রে শ্রীরামপুর মিশনের অবদান অনেকখানি। প্রধানত বঙ্গদেশে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্যই কলকাতার নিকটবর্তী হুগলির শ্রীরামপুরে এই মিশন প্রতিষ্ঠা করেন ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে খ্রিস্টান মিশনারীরা। ইংরেজ শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনের কাজকর্মে এবং জীবিকার প্রয়ােজনে শিক্ষার গুরুত্ব দ্রুতবেগে বাড়তে থাকে। ইংরেজরা শাসনকার্য পরিচালনার জন্য গদ্য চর্চা করতে থাকেন। বিশেষ প্রয়ােজনবােধকে সামনে … বিস্তারিত পড়ুন

Share

নাসিক্যী ভবন কাকে বলে? উদাহরণসহ লেখো।

যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণকালে শ্বাসের বায়ু মুখ দিয়ে বের না হয়ে নাক দিয়ে বের হয়, সেগুলোকে নাসিক্য বা আনুনাসিক ব্যঞ্জনধ্বনি বলা হয়। বর্তমান বাংলা ভাষায় তিনটি নাসিক্য ধ্বনিমূলগুলো আছেঃ “ঙ”, “ন”, ও “ম”। কিছু কিছু ব্রাউজার এই পৃষ্ঠার আ-ধ্ব-ব বর্ণগুলো ঠিক মত প্রদর্শন করতে পারবে না।

Share

স্বরসংগতি কাকে বলে? উদাহরণসহ-এর প্রকারভেদগুলির নাম উল্লেখ করো।

একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরধ্বনির পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন:– দেশি (দ্+এ+শ্+ই) – দিশি (দ্+ই+শ্+ই); মুলা (ম্+উ+ল্+আ) – মুলো (ম্+উ+ল্+ও) ইত্যাদি।  স্বরসঙ্গতি ৫ প্রকার যথা: প্রগত, পরাগত, মধ্যগত, অন্যোন্য এবং চলতি বাংলা স্বরসঙ্গতি)

Share

দীনবন্ধু মিত্রের প্রহসনগুলির নাম লেখো। তাঁর শ্রেষ্ঠ প্রহসনের প্রধান চরিত্রের নাম কী?দীনবন্ধু মিত্র প্রহসন

দীনবন্ধু মিত্রের প্রহসনগুলি সাতটি নাটক ও প্রহসন লিখেছিলেন। ‘নীলদর্পণ'(১৮৬০), ‘নবীন তপস্বিনী'(১৮৬৩), ‘কমলে কামিনী'(১৮৭৩)- এই তিনটি তাঁর গভীর রসের নাটক। আর চারটি প্রহসন হল ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো'(১৮৬৬), ‘সধবার একাদশী'(১৮৬৬) ‘লীলাবতী'(১৮৬৭), ‘জামাই বারিক'(১৮৭২)

Share