বিদ্যাসাগরের চারটি অনুবাদ গ্রন্থের নাম লেখো। বাংলা গদ্যে বিদ্যাসাগরের অবদান সংক্ষেপে লেখো।

বিদ্যাসাগরের অনুবাদমূলক গ্রন্থগুলি হল- কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম্’ থেকে ‘শকুন্তলা’ (১৮৫৪), ভবভূতির ‘উত্তরচরিত’ ও বাল্মীকির রামায়ণের ‘উত্তরকাণ্ড’ অবলম্বনে ‘সীতার বনবাস’ (১৮৬০), ‘ঈশপের ফেবলস্’ অবলম্বনে ‘কথামালা’ ও মার্শম্যানের ‘History of Bengal’ অবলম্বনে ‘বাঙ্গালার ইতিহাস’ ও ‘বৈতালি পচ্চীসী’ থেকে ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’। বাংলা গদ্য প্রথম সুসংহত, সুপরিণত ও ও সহজ গতিময়তায় চলতে শুরু করেছিল বিদ্যাসাগরের হাত। তিনি প্রথম বাংলা … বিস্তারিত পড়ুন

Share

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত হিসেবে তুমি কাকে মনে করো? বাংলা গদ্য বিকাশে তাঁর প্রতিভা আলোচনা করো।  অগ্রণ্ডা, বাংলা গদ্য বিকাশে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের প্রতিভা বিচার করো।

বাংলা গদ্যের বিকাশ হয়েছিল শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজকে কেন্দ্র করে। বিদেশ থেকে আগত সিভিলিয়ানদের এদেশীয় ভাষা, সংস্কৃতিতে শিক্ষিত করার অভিপ্রায়ে গড়ে উঠেছিল এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল বাঙালি পন্ডিতদের। কেননা এদেশের ভাষা, সংস্কৃতি সম্পর্কে সিভিলিয়ান পন্ডিতদেরও তেমন স্বচ্ছ ধারণা ছিল না। তবে এর মধ্য দিয়ে বাংলা গদ্যের বিকাশ খুব সহজেই … বিস্তারিত পড়ুন

Share

বাংলা গদ্যের বিকাশে শ্রীরামপুর মিশনের অবদান আলোচনা করো।

উনিশ শতকে বাংলা গদ্যের বিকাশে শ্রীরামপুর মিশনের অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। ইংরেজরা খ্রিস্টানধর্ম প্রচারের জন্য মূলত গড়ে তুলেছিলেন শ্রীরামপুর মিশন। এ প্রসঙ্গে দুজন মিশনারির নাম স্মরণীয়। তাঁরা হলেন উইলিয়াম কেরী ও টমাস মার্শম্যান। এদেশে খ্রিস্টানধর্ম প্রচারের জন্য নানা গদ্যগ্রন্থ অনুবাদে তাঁরা নজর দিয়েছিলেন। ফলে বাংলা গদ্যের বিকাশ অনেকখানি তরান্বিত হয়েছিল। মিশনারিদের মনে হয়েছিল রামায়ণ, মহাভারতের পাশাপাশি … বিস্তারিত পড়ুন

Share

বাংলা গদ্যে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের অবদান সংক্ষেপে আলোচনা করো।

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অন্যতম পন্ডিত মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার। তাঁর প্রশ্নগুলি হল-‘বত্রিশ সিংহাসন’ (১৮০২), ‘হিতোপদেশ’ (১৮০৮), ‘রাজাবলি’ (১৮০৮), ‘বেদান্তচন্দ্রিকা’ (১৮১৭) ও ‘প্রবোধচন্দ্রিকা’ (১৮৩৩)। রাজা বিক্রমাদিত্যকে সামনে রেখে মৃত্যুঞ্জয় বত্রিশটি গল্প শুনিয়েছেন ‘বত্রিশ সিংহাসন’ গ্রন্থে। এটি সংস্কৃত রীতিতে সাধুগদ্যে লেখা। তবে ভাষার মধ্যে একটি দীপ্তি লক্ষ করা যায়-“হে মহারাজ শুন রাজলক্ষ্মী কখন কাহাতেও স্থির হইয়া থাকেন না। রক্তমাংস … বিস্তারিত পড়ুন

Share

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের তিনজন পণ্ডিতের একটি করে গ্রন্থের নাম উল্লেখ করো। তিনটি গ্রন্থ সম্পর্কেই সংক্ষেপে আলোচনা করো।

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের তিনজন পণ্ডিত হলেন-উইলিয়াম কেরী, রামরাম বসু ও মৃত্যঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার। তাঁদের লেখা তিনটি গ্রন্থ হল- উইলিয়াম কেরী-‘ইতিহাসমালা’, রামরাম বসু-‘লিপিমালা’ ও মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার-‘রাজাবলি’। কেরীর ‘ইতিহাসমালা’ ঠিক ইতিহাস বলতে আমরা যা বুঝি তা নয়, অনেকটা গল্পের ছলে লেখা। তবে প্রশ্নের আখ্যাপত্রে লেখা ছিল-“A collection of stories in the Bengali Language collected from various sources.”। বঙ্গদেশে … বিস্তারিত পড়ুন

Share

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের চারজন গৌণ পণ্ডিতের নাম উল্লেখ করো। তাঁদের একটি করে গ্রন্থের নাম উল্লেখ করো। যে-কোনো একজনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের চারজন গৌণ পণ্ডিত হলেন- রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়, তারিণীচরণ মিত্র, গোলকনাথ শর্মা ও চণ্ডীচরণ মুনশি। তাঁদের একটি করে গ্রন্থ হল- রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়-‘মহারাজ কৃয়চন্দ্র চরিত্রং’ তারিণীচরণ মিত্র-‘ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি’ গোলকনাথ শর্মা-‘হিতোপদেশ’ ও চন্ডীচরণ মুনশি-‘তোতা ইতিহাস’। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের গৌণ লেখকদের মধ্যে অন্যতম রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়। তিনি উইলিয়াম কেরীর সহকারী পন্ডিত হিসেবে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে যোগ … বিস্তারিত পড়ুন

Share

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বিদেশি পন্ডিত হলেন উইলিয়াম কেরী। উইলিয়াম কেরীর দুটি গ্রন্থ হল-‘কথোপকথন’ ও ‘ইতিহাসমালা’।

উইলিয়াম কেরীর লেখা দুটি প্রশ্নের পরিচয় পাওয়া যায়। যথা-‘কথোপকথন‘ (১৮০১) ও ‘ইতিহাসমালা‘ (১৮১২)। ‘কথোপকথন‘ সংলাপের ঢঙে লেখা। বাঙালি জীবনের ঘরোয়া নানা তথ্য নিয়ে তিনি গ্রন্থটিকে সাজিয়েছেন। যেমন–হাটের বিষয়, স্ত্রীলোকের হাটকরণ, মাইয়া কোন্দল, চাকর ভাড়াকরণ ইত্যাদির মতো হালকা বিষয়গুলি নিয়ে তিনি সিভিলিয়ানদের জনজীবন সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছেন। কেরীর ‘ইতিহাসমালা‘ ঠিক ইতিহাস বলতে আমরা যা বুঝি … বিস্তারিত পড়ুন

Share

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অন্যতম পণ্ডিত উইলিয়াম কেরীর কৃতিত্ব আলোচনা করো। অথতা, উইলিয়াম কেরী কে ছিলেন? তাঁর অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অন্যতম পণ্ডিত উইলিয়াম কেরী। বাংলা গদ্যের বিকাশে যেসব বিদেশিদের নাম স্মরণীয় তাঁদের মধ্যে উইলিয়াম কেরী অন্যতম সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তিনিই প্রথম সিভিলিয়ানদের এদেশীয় ভাষা সংস্কৃতি শেখার গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন। তিনি নিজে যেমন গ্রন্থ রচনা করেছেন, তেমনি বাঙালি পন্ডিতদের দিয়ে প্রয়োজনীয় প্রশ্ন রচনা করিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। উইলিয়াম কেরীর নামে দুটি … বিস্তারিত পড়ুন

Share

‘ভোরের পাখী’ কে কাকে বলেছিলেন? বাংলা গীতিকাব্যের ধারায় উক্ত কবির গুরুত্ব বিচার করুন | বাংলা কাব্য সাহিত্যে বিহারীলাল চক্রবর্তীর অবদান | বিহারীলাল চক্রবর্তীর কাব্যচর্চার পরিচয় দাও | গীতিকবি হিসেবে বিহারীলাল চক্রবর্তী

‘ভোরের পাখী’ কে কাকে বলেছিলেন? বাংলা গীতিকাব্যের ধারায় উক্ত কবির গুরুত্ব বিচার করুন | বাংলা কাব্য সাহিত্যে বিহারীলাল চক্রবর্তীর অবদান | বিহারীলাল চক্রবর্তীর কাব্যচর্চার পরিচয় দাও | গীতিকবি হিসেবে বিহারীলাল চক্রবর্তী

Share

ছোটগল্পকার রবীন্দ্রনাথের সার্থকতা নির্ণয় করুন | বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের কৃতিত্ব সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো এবং তার ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্যসমূহ সংক্ষেপে উল্লেখ করো।

রবীন্দ্রনাথের হাতেই বাংলা ছোটগল্পের সার্থক রূপটি পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ‘সাধনা’ পত্রিকায় তিনি ছোটগল্প লিখতে শুরু করেন। তার আগেও অবশ্য তিনি গল্প লিখেছেন। তবে বাংলা ছোটগল্প যে পাশ্চাত্য গল্পের কাছে ঋণী, এমন কি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও এডগার অ্যালান পো-র বিদেশি সাহিত্যিকের সৃষ্টির কথা সাহায্য গ্রহণ করেছিলেন, এ তথ্য প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু বাংলা ছোটগল্পের সেই প্রাথমিক … বিস্তারিত পড়ুন

Share
error: Content is protected !!