‘রামমােহন রায়কে বাঙলা গদ্যের জনক’ নামে অভিহিত করার যৌক্তিকতা পরিচয় দাও।

অথবা, বাঙলা গদ্যসাহিত্যের বিকাশে রামমােহন রায়ের অবদান আলোচনা করো। রামমােহনের রচনাবলী: বাঙলা গদ্যের ইতিহাসে রামমােহন রায়ের (১৭৭২-১৮৩৩) রচনাবলীর মূল্য নিরূপণের আগে আলােচনার সুবিধার জন্যে তার প্রধান রচনাগুলাের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া প্রয়ােজন। ১৮১৫ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত হয় ‘বেদাস্তগ্রন্থ’ এবং ‘বেদান্তসার’। প্রথম গ্রন্থটি বেদান্তের বঙ্গানুবাদ এবং দ্বিতীয়টি বেদান্তের সার সংকলন। ১৮১৬-১৭ খ্রীষ্টাব্দে প্রথম শাস্ত্রীয় বিচার-মূলক রচনা ‘উৎসবানন্দ বিদ্যাবাগীশের … বিস্তারিত পড়ুন

Share

বাংলা নাট্যসাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান

বাংলা নাটকে দ্বিজেন্দ্রলাল রায় বঙ্গ রঙ্গমঞ্চের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত না হয়েও নাট্যকার রূপে জনগণমন হরণে সক্ষম হয়েছিলেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (সংক্ষেপে ডি. এল. রায়)। কৃষ্ণনগরে ১৮৬৩ খ্রীস্টাব্দের ১৯শে জুলাই তার জন্ম হয়। পিতা ছিলেন সুবিখ্যাত আত্মচরিত রচয়িতা এবং বঙ্কিম প্রমুখ বহু গুণীজন-সুহৃৎ দেওয়ান কার্ত্তিকেয়চন্দ্র রায়। কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলালের বাংলা নাটকের আসরে প্রবেশ মুহূর্ত কিছুটা বিলম্বিত। … বিস্তারিত পড়ুন

Share

‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার পরিচয় ও গুরুত্ব | সম্বাদ প্রভাকর সাময়িকপত্রের পরিচয় ও গুরুত্ব | সম্বাদ প্রভাকর থেকে ‘বঙ্গদর্শন’ পর্যন্ত বাংলা সাময়িক পত্রের ইতিহাস | তত্ত্ববােধিনী পত্রিকার পরিচয়

সংবাদ প্রভাকর থেকে ‘বঙ্গদর্শন’ পর্যন্ত বাংলা পত্রিকার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস: 1818 খ্রিস্টাব্দে বাংলা পত্রিকা প্রকাশের পরবর্তী পর্যায়ে সম্বাদ প্রভাকর বাংলা পত্রিকার জগতে এক বিপ্লব নিয়ে আসেন। সঙ্গম প্রভাকর প্রথম প্রকাশিত হয় ২৮শে জানুয়ারি, ১৮৩১ সালে কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সম্পাদনায়। এটি প্রথমে একটি সাপ্তাহিক হিসাবে, পরে একটি ত্রি-সাপ্তাহিক (Bartroyk) এবং তারপর একটি দৈনিক (1839) হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিল। … বিস্তারিত পড়ুন

Share

দিগ্‌দর্শন পত্রিকার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ?

দিগ্‌দর্শন পত্রিকার পরিচয়: দিগ্‌দর্শন বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম মাসিক পত্রিকা। শ্রীরামপুরের ইংরেজ মিশনারিরা ধর্ম প্রচারের জন্য দেশীয় ভাষা চর্চার জন্য যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ  করেছিল, এরই একটি উদ্যোগ ছিল সংবাদপত্র প্রকাশ। এই সময় লর্ড ওয়েলস্লে’র সংবাদপত্র প্রকাশের উপর নিষেধাজ্ঞা বলৎ ছিল। এছাড়া মিশনের কর্মাধ্যক্ষ উইলিয়াম কেরি পত্রিকা প্রকাশের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন। তাই মিশনারিরা চিঠিপত্র, সারকুলার, … বিস্তারিত পড়ুন

Share

সাময়িকপত্রের ইতিহাসে তত্ত্ববােধিনী পত্রিকার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ?

তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা

Share

‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও গুরুত্ব লেখাে

‘বঙ্গদর্শন’ প্রত্রিকার পরিচয়: ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার প্রকাশ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা। এই পত্রিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে বাংলা সাময়িকপত্রের জগতে এক নতুন ধারার সূত্রপাত হয়। ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে (১২৭৯ বঙ্গাব্দের ১ বৈশাখ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় মাসিক ‘বঙ্গদর্শন’। এই পত্রিকা প্রকাশের পিছনে বঙ্কিমের উদ্দেশ্য ছিল সমকালীন শিক্ষিত মননের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সংযােগ ঘটানাে। বঙ্কিমচন্দ্রের কয়েকটি … বিস্তারিত পড়ুন

Share

‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদের প্রতি নিবেদন’– প্রবন্ধ অবলম্বনে বঙ্কিমচন্দ্রের বক্তব্য আলোচনা করুন।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একজন মহান বাঙালি সাহিত্যিক, নাট্যকার, এবং সামাজিক চিন্তাবাদী হিসেবে পরিচিত। তার লেখা “বাঙ্গালার নব্য লেখকদের প্রতি নিবেদন” নামক একটি প্রবন্ধে তিনি তার সময়ের নবজগন্নাথ কাব্যসৃষ্টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। বঙ্কিমচন্দ্রের এই প্রবন্ধে তিনি নবজগন্নাথ কাব্য নিয়ে বাঙালি সাহিত্যিকদের কাছে একটি নবাগমনের সূচনা করেছেন। তার মধ্যে বাঙ্গালি সাহিত্যে একটি নতুন যুগ যাচাই হচ্ছে, যেটি ধারাবাহিকভাবে … বিস্তারিত পড়ুন

Share

রবীন্দ্রনাথের কাব্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় লিপিবদ্ধ করো।

অথবা, উনিশ শতকের কাব্য পরিক্রমায় রবীন্দ্রনাথের অবদান আলোচনা করো। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন যে বছর ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ নামক মহাকাব্য লিখলেন সে বছরই জন্ম হয় আর এক কবির। যিনি বাংলা কাব্য পরিক্রমার রাজাধিরাজের আসন অধিকার করে আছেন এযাবৎ কাল। সে নাম যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘হিন্দু মেলার উপহার’ লিখে তিনি কাব্যজগতে প্রবেশ … বিস্তারিত পড়ুন

Share

বিহারীলাল চক্রবর্তীর ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

বিহারীলাল চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কাব্য ‘সারদামঙ্গল’ কাব্য। বাংলা গীতিকবিতার ইতিহাসে ‘ভোরের পাখি’ বিহারীলাল চক্রবর্তী। বিহারীলালের হাত ধরেই বাংলা আধুনিক গীতিকবিতার সূচনা। আর ‘সারদামঙ্গল’ বাংলা গীতিকাব্যের ইতিহাসে প্রথম কাব্য। কাব্যটি প্রকাশিত হয় ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে। এই কাব্য রচনা সম্পর্কে বন্ধু অনাথবন্ধু রায়কে এক চিঠিতে লিখেছেন-“মৈত্রীবিরহ, প্রীতিবিরহ, সরস্বতীবিরহ যুগপৎ ত্রিবিধ বিরহে উন্মত্তবৎ হইয়া আমি সারদামঙ্গল সংগীত রচনা করি।” ‘সারদামঙ্গল’ … বিস্তারিত পড়ুন

Share

রবীন্দ্রনাথের প্রথম পর্যায়ের কাব্যগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে পরিচয়দাও। – রবীন্দ্রনাথের প্রথম পর্যায়ের কাব্যগুলির মধ্যে রয়েছে ‘কবিকাহিনী’, ‘বনফুল’,

রবীন্দ্রনাথের পদ্মাপারের কাব্যগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সোনারতরী’, ‘চিত্রা’ ও ‘চৈতালি’। ‘সোনারতরী’ কাব্যটি প্রকাশিত হয় ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে। কাব্যটি উৎসর্গ করেন দেবেন্দ্রনাথ সেনকে। এ কাব্যের ভূমিকায় কবি জানিয়েছেন-“বাংলাদেশকে তো বলতে পারি না বেগানা দেশ; তার ভাষা চিনি, তার সুর চিনি। ক্ষণে ক্ষত্রে যতটুকু গোচরে এসেছিল তার চেয়ে অনেকখানি প্রবেশ করেছিল মনের অন্দরমহলে আপন বিচিত্র রূপ নিয়ে।” এ কাব্যের … বিস্তারিত পড়ুন

Share