রবীন্দ্রনাথের আধ্যাত্মিক পর্বের কাব্যগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

রবীন্দ্রনাথের আধ্যাত্মিক পর্বের কাব্যগুলির মধ্যে রয়েছে ‘খেয়া’, ‘গীতাঞ্জলি’, ‘গীতিমাল্য’ ও ‘গীতালি’। এই পর্বে এসে রবীন্দ্রনাথ প্রাচীন ভারতীয়ত্ববোধ থেকে আধ্যাত্মিক জগতে প্রবেশ করেন। প্রমথনাথ বিশীর মতে-“খেয়া মৃত্যুর কাব্য নহে, জীবনের কাব্য-নবতর জীবনের এবং নবতর কর্মপ্রবাহের।” এই কাব্যের উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলি হল-‘শেষ খেয়া’, ‘আগমন’, ‘পথিক’, ‘বিদায়’, ‘পথের শেষ’ ইত্যাদি। ‘শেষ খেয়া’ কবিতায় শুনতে পাই-“দিনের শেষে ঘুমের দেশে ঘোমটা … বিস্তারিত পড়ুন

Share

রবীন্দ্রনাথের প্রথম পর্যায়ের কাব্যগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে পরিচয়দাও। – রবীন্দ্রনাথের প্রথম পর্যায়ের কাব্যগুলির মধ্যে রয়েছে ‘কবিকাহিনী’, ‘বনফুল’,

রবীন্দ্রনাথের পদ্মাপারের কাব্যগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সোনারতরী’, ‘চিত্রা’ ও ‘চৈতালি’। ‘সোনারতরী’ কাব্যটি প্রকাশিত হয় ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে। কাব্যটি উৎসর্গ করেন দেবেন্দ্রনাথ সেনকে। এ কাব্যের ভূমিকায় কবি জানিয়েছেন-“বাংলাদেশকে তো বলতে পারি না বেগানা দেশ; তার ভাষা চিনি, তার সুর চিনি। ক্ষণে ক্ষত্রে যতটুকু গোচরে এসেছিল তার চেয়ে অনেকখানি প্রবেশ করেছিল মনের অন্দরমহলে আপন বিচিত্র রূপ নিয়ে।” এ কাব্যের … বিস্তারিত পড়ুন

Share

মধুসূদনের সনেটগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উনিশ শতকে মহাকাব্য, পত্রকাব্যের মতো মধুসূদন বাংলা সনেটেরও জন্মদাতা। বাংলা সনেটকে এক উচ্চপর্যায়ে তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন। জন্মভূমি থেকে বহুদূরে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরে বসে তিনি এই সনেটগুলি রচনা করেছেন। মধুসূদন দত্ত মোট ১১০টি সনেট রচনা করেন। রাজনারায়ণ বসুকে তিনি নিজেই এক চিঠিতে লিখেছেন-“I want to introduce the sonnet into our language.” পেত্রার্ক, দান্তে, শেকসপিয়র-এর অনুকরণে তিনি … বিস্তারিত পড়ুন

Share

মধুসূদন দত্তের ‘ব্রজঙ্গনা কাব্য’ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

মাইকেল মধুসূদন দত্তের অন্যতম কাব্য ‘ব্রজঙ্গনা কাব্য’। কাব্যটি ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। রাধার বিরহবিধুর চিত্তের এক আবেগঘন অবস্থা তিনি সৃষ্টি করেছেন এই কাব্যে। যদিও প্রথমে তিনি কাব্যটির নাম রেখেছিলেন ‘রাধাবিরহ’। এই রাধা বৈষুব পদাবলিতে চিত্রিত রাধা বা রাধার অনুকরণ নয়। এ-রাধা মধুসূদনের স্বনির্মিত রাধা। মধুসুদন নিজেই এই রাধা সম্পর্কে জানিয়েছেন-‘Poor lady of Braja’ তেমনি কাব্যটি … বিস্তারিত পড়ুন

Share

মধুসূদন দত্তের ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ সম্পর্কে আলোচনা করো।

মধুসূদন দত্তের অন্যতম কাব্য ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ (১৮৬২)। বাংলা পত্রকাব্যের ইতিহাসে প্রথম পথের দিশারি ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’। উনিশ শতকের পটভূমিকায় পুরাণের নারীদের কীভাবে আধুনিক যুগের পটভূমিকায় উপস্থাপন করা যায় তা মধুসুদন দেখিয়েছেন এই কাব্যে। উনিশ শতকের নারীচেতনাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলেন বিদ্যাসাগরকে এই কাব্য উৎসর্গ করে। এগারোটি পত্রে পুরাণের নারীরা সকলেই প্রতিবাদের সুর শুনিয়ে গেছেন। কেউ প্রেমে, … বিস্তারিত পড়ুন

Share

বাংলা গদ্যসাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান আলোচনা করো।

উনিশ শতকের বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বঙ্কিমচন্দ্র প্রথম জীবনে উপন্যাস দিয়ে সাহিত্যজীবন শুরু করলেও পরে প্রবন্ধে প্রবেশ করেন। দেশ জাতির জন্য তিনি যেমন প্রবন্ধ লিখেছেন, তেমনি সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ লিখে বাংলা সাহিত্যের অশেষ উন্নতি করেছেন। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের হাত ধরে বাংলা গদ্যের প্রতিষ্ঠা, বিদ্যাসাগরের হাতে তা পরিণতি লাভ করেছে আর বঙ্কিমচন্দ্র বাংলা … বিস্তারিত পড়ুন

Share

উনিশ শতকের বাংলা গদ্যের বিকাশে দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করো। প্রতিষ্ঠান দুটি কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? গদ্যের বিকাশে যে-কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের অবদান আলোচনা করো।

উনিশ শতকের বাংলা গদ্যের বিকাশে দুটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হল-শ্রীরামপুর মিশন ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ। কলকাতার অদূরে দিনেমার কেন্দ্রে শ্রীরামপুর মিশন ও কলকাতার লালবাজারের কাছে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ-দুটি প্রতিষ্ঠানই ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলা গদ্যের বিকাশে এখানে আমরা শ্রীরামপুর মিশনের অবদান নিয়ে আলোচনা করব। উনিশ শতকে বাংলা গদ্যের বিকাশে শ্রীরামপুর মিশনের অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। ইংরেজরা খ্রিস্টানধর্ম … বিস্তারিত পড়ুন

Share

শ্রীরামপুর মিশন কবে প্রতিষ্ঠিত হয়? মিশন প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত মিশনারিদের নাম উল্লেখ করো। বাংলা গদ্যের বিকাশে এই মিশনের অবদান লেখো।

১৮০০ খ্রিস্টাব্দে হুগলির শ্রীরামপুরের কাছে শ্রীরামপুর মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। মিশন প্রতিষ্ঠার সঙ্গে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন-উইলিয়াম কেরী, মার্শম্যান ও ওয়ার্ড। উনিশ শতকে বাংলা গদ্যের বিকাশে শ্রীরামপুর মিশনের অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। ইংরেজরা খ্রিস্টানধর্ম প্রচারের জন্য মূলত গড়ে তুলেছিলেন শ্রীরামপুর মিশন। এ প্রসঙ্গো দুজন মিশনারির নাম স্মরণীয়। তাঁরা হলেন উইলিয়াম কেরী ও টমাস মার্শম্যান। এদেশে খ্রিস্টানধর্ম প্রচারের জন্য … বিস্তারিত পড়ুন

Share

রামমোহন সম্পাদিত পত্রিকার নাম কী? রামমোহন ব্যাকরণ বিষয়ক কোন্ গ্রন্থ রচনা করেন? বাংলা গদ্যে রামমোহনের অবদান আলোচনা করো।

রামমোহন সম্পাদিত পত্রিকার নাম ‘সম্বাদ কৌমুদী’। রামমোহন রায় কর্তৃক রচিত ব্যাকরণ বিষয়ক গ্রন্থটি হল ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’। মিশনারিদের পর রামমোহন রায় বাংলা গদ্যকে কয়েক পদক্ষেপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ রামমোহন রায়কে ‘ভারতপথিক’ ভূষণে ভূষিত করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের এ মন্তব্য যথার্থ। রামমোহন সমাজসংস্কারের পাশাপাশি বেশ কিছু সংস্কারমূলক বইও লিখেছিলেন। ফলে সাহিত্যের শিল্পশ্রী ও কাব্যসুষমা তাঁর রচনায় অনুপস্থিত। তবুও … বিস্তারিত পড়ুন

Share

বিদ্যাসাগরের ছদ্মনামে লেখা গ্রন্থগুলির উল্লেখ করো। বাংলা গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগর কতখানি প্রাসঙ্গিক?

বিদ্যাসাগর ছদ্মনামে বেশ কয়েকটি গ্রন্থ লেখেন। ‘কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য’ ছদ্মনামে লেখেন ‘অতি অল্প হইল’, ‘আবার অতি অল্প হইল’ ও ‘ব্রজবিলাস’। ‘কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপো সহচরস্য’ ছদ্মনামে লেখেন ‘রত্নপরীক্ষা’ গ্রন্থ। বাংলা গদ্য প্রথম সুসংহত, সুপরিণত ও ও সহজ গতিময়তায় চলতে শুরু করেছিল বিদ্যাসাগরের হাতে। তিনি প্রথম বাংলা গদ্যের যথার্থ শিল্পী। বাংলা গদ্যকে সুশৃঙ্খল রূপ দিতে তিনিই প্রথম … বিস্তারিত পড়ুন

Share
error: Content is protected !!