বাংলা নাটকের প্রথম পর্বের নাট্যবিকাশে রামনারায়ণ তর্করত্বের কৃতিত্ব আলোচনা করো।

মধুসুদন, দীনবন্ধু-পূর্ববর্তী বাংলা নাটকে একজন স্মরণীয় নাট্যকার রামনারায়ণ তর্করত্ন। তখন বাংলা নাটকের প্রস্তুতিপর্ব। সে-পর্বেই রামনারায়ণ সমাজের বাস্তব সমস্যার দিকে যেমন নজর দিয়েছিলেন তেমনি সরস মননের দ্বারা নাটকে এক আপাত হাস্যরসের সৃষ্টি করেছিলেন। এজন্যই তাঁকে বলা হয় ‘নাটুকে রামনারায়ণ’। কেননা দুঃখ অপেক্ষা হাস্যরসের প্রতি তাঁর বেশি নজর ছিল। এমনকি প্রাচীনপন্থী সমাজে জন্মেও সব সংস্কার ভেঙে দিলেন। … বিস্তারিত পড়ুন

Share

বাংলা নাটকে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ভূমিকা আলোচনা করো।

অথবা, উনিশ শতকের বাংলা নাটকের বিকাশে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান কতখানি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করো। একাধিক প্রতিভার অধিকারী দ্বিজেন্দ্রলাল রায় নাটকেও সমান দক্ষ। উনিশ ও বিশ শতকের যুগসন্ধিক্ষণে তাঁকে নাটক রচনায় অবতীর্ণ হতে দেখা যায়। বিশ শতকের সূচনাতেই তাঁর অকালপ্রয়াণ বাংলা নাট্যসাহিত্যের সমূহ ক্ষতি করেছে। দ্বিজেন্দ্রলালের প্রধান কৃতিত্ব ঐতিহাসিক নাটক রচনার দক্ষতায়। উনিশ শতকে ঐতিহাসিক নাটক লেখার … বিস্তারিত পড়ুন

Share

প্রহসন: ‘ভোটমঙ্গল’, ‘বেল্লিক বাজার’, ‘বড়দিনের বকশিস’, ‘সভ্যতার পান্ডা’ ও ‘য্যায়সা কা ত্যায়সা’।

উনিশ শতক ছিল পরাধীন ভারতবর্ষের অত্যাচারিত দিন। ইংরেজ সরকারের অত্যাচার ও ভারতবাসীর স্বদেশচেতনার জাগরণেই গিরিশচন্দ্র ঘোষ ঐতিহাসিক নাটকগুলি লিখেছিলেন। অতীত ইতিহাসের গৌরবগাথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বাঙালির চেতনা বৃদ্ধি করাতে চেয়েছিলেন। তেমনি হিন্দু-মুসলিমের সম্প্রীতির ঐক্যমূলকে দৃঢ় বন্ধনে বেঁধে দিলেন। তাই ‘সিরাজদৌল্লা’ নাটকে শুনতে পাই-“বঙ্গের সন্তান হিন্দু মুসলমান/ বাঙ্গালার সার্বিক কল্যাণ।” বীর শিবাজির আদর্শ, অশোকের স্বদেশ … বিস্তারিত পড়ুন

Share

বাংলা নাটকে গিরিশচন্দ্রের অবদান আলোচনা করো। অথবা, অভিনেতা ও নাট্যকার হিসেবে উনিশ শতকের বাংলা নাটক বিকাশে গিরিশচন্দ্রের ভূমিকা কতখানি প্রাসঙ্গিক-আলোচনা করো।

শুধু নাট্যকার নন, অভিনেতা ও মঞ্চ প্রযোজক হিসেবে গিরিশচন্দ্র ঘোষ নাট্য সাহিত্যের ইতিহাসে এক মাইলস্টোন। সাধারণ রঙ্গালয়ের সূচনা হয়েছিল গিরিশচন্দ্র ঘোষের হাত ধরে। নাট্যশিল্প শুধুমাত্র উচ্চবিত্ত মানুষের জন্য নয়, তা সাধারণ মানুষের  বিনোদনের সঙ্গী: নাটককে উচ্চবিত্তের অন্দরমহল থেকে সাধারণ মানুষের দরবারে উপস্থিত করার কৃতিত্ব তাঁরই। প্রসঙ্গত স্মরণ করা যেতে পারে, নাট্য সমালোচক অপরেশ মুখোপাধ্যায়-এর কথা- … বিস্তারিত পড়ুন

Share

বাংলা নাট্যসাহিত্যে পাশ্চাত্য ধারাকে সামনে রেখে প্রথম নাটক লেখেন মধুসূদন।

কাব্যের নাটকেও মধুসূদন আধুনিকতার পুরধাপুরুষ। পৌরাণিক নাটক থেকে, প্রথম সার্থক ঐতিহাসিক নাটক, ট্র্যাজেডি নাটক ও প্রহসন মধুসূদনেরই সৃষ্টি। তাই সমালোচক সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত লিখেছেন-“নাট্যসাহিত্যেও তাঁহার দান উপেক্ষণীয় নয়, তিনিই আধুনিক বাংলা নাটকের জনক এবং তাঁর পরে নাট্যসাহিত্য খুব বেশি দূর অগ্রসর হয় নাই। শুধু সাহিত্যিক মানদণ্ড দিয়া বিচার করিলে বলা যাইতে পারে যে ‘কুরকুমারী’ বা ‘বুড়ো … বিস্তারিত পড়ুন

Share

বাংলা নাটকে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান আলোচনা করো।

বাংলা নাটকের প্রথম পর্বে একজন উল্লেখযোগ্য নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০)। ঈশ্বর গুপ্তের ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় যাঁরা হাত পাকিয়ে বড়ো হয়ে উঠেছিলেন তাঁদের মধ্যে দীনবন্ধু মিত্র অন্যতম। উনিশ শতকের বাংলা নাটকে যে নবজাগরণ, তার মূল কৃতিত্বের দাবিদার ছিলেন দীনবন্ধু মিত্র ও মধুসূদন দত্ত। তবে বাংলা নাটকে প্রথম গণজাগরণ নিয়ে এলেন দীনবন্ধু মিত্র। সমালোচক সুশীলকুমার দে’-র মতে, … বিস্তারিত পড়ুন

Share

গিরিশচন্দ্র ঘোষের পৌরাণিক নাটকগুলির পরিচয় দাও।

গিরিশচন্দ্র ঘোষ শুধু নাট্যকার নয় অভিনেতা ও মঞ্চ প্রযোজক হিসেবেও গিরিশচন্দ্র ঘোষ বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে এক মাইলস্টোন। সাধারণ রঙ্গালয়ের সূচনা হয়েছিল গিরিশচন্দ্র ঘোষের হাত ধরে। নাট্যশিল্প শুধুমাত্র উচ্চবিত্ত মানুষের জন্য নয়, তা সাধারণ মানুষের বিনোদনের সঙ্গী, নাটককে উচ্চবিত্তর অন্দরমহল থেকে সাধারণ মানুষের দরবারে উপস্থিত করার কৃতিত্ব তাঁরই। প্রসঙ্গত স্মরণ করা যেতে পারে নাট্য সমালোচক অপরেশ … বিস্তারিত পড়ুন

Share

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ঐতিহাসিক নাটকগুলির পরিচয় দাও।

নাট্যরচনার ক্ষেত্রে দ্বিজেন্দ্রলালের প্রধান কৃতিত্ব ঐতিহাসিক নাটক রচনায়। বাংলা নাটকে দ্বিজেন্দ্রলাল উনিশ শতকের শেষের দিকে প্রবেশ করলেও ঐতিহাসিক নাটক রচনা করেন বিংশ শতকের সূচনা থেকে। তবে এ জাতীয়তাবাদের সুর উনিশ শতকে তাঁর রচিত কবিতাগুলিতেও মিলবে। বিংশ শতকের বঙ্গভঙ্গ প্রাক্কালে জাতির প্রয়োজনে তিনি ঐতিহাসিক নাটকে স্বদেশচেতনা ও মানবমৈত্রীর বন্ধন গড়ে তুললেন। দ্বিজেন্দ্রলালের ঐতিহাসিক নাটকগুলির মধ্যে রয়েছে-‘তারাবাঈ’ … বিস্তারিত পড়ুন

Share

গিরিশচন্দ্রের সামাজিক নাটকগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

সামাজিক ও পৌরাণিক নাটক রচনায় গিরিশচন্দ্র বিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় রেখেছেন। উনিশ শতকে গিরিশচন্দ্রের সামাজিক নাটকগুলি পাঠক সমাজে বিশেষ সমাদৃত হয়েছিল। গিরিশচন্দ্রের সামাজিক নাটকগুলির মধ্যে রয়েছে ‘প্রফুল্ল’ (১৮৮৯), ‘হারানিধি’ (১৮৯০), ‘মায়াবসান’ (১৮৯৭) ও ‘বলিদান’ (১৯০৫) গিরিশচন্দ্রের অন্যতম সামাজিক নাটক ‘প্রফুল্ল’। শুধু গিরিশচন্দ্রেরই নয়, উনিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সামাজিক নাটক ‘প্রফুল্ল’। একান্নবর্তী পরিবারের ভাঙন নিয়ে এ নাটক … বিস্তারিত পড়ুন

Share

গিরিশচন্দ্র ঘোষের ঐতিহাসিক নাটকগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উনিশ শতকের বাংলা নাটকে একজন উল্লেখযোগ্য নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষ। রঙ্গমঞ্চের প্রয়োজনে তাঁকে বহু নাটক লিখতে হয়েছে। শুধু নাটক লেখা নয়, রঙ্গমঞ্চের প্রয়োজনে উপন্যাসকেও নাট্যে রূপান্তরিত করতে হয়েছে। উনিশ শতকে জাতীয়তাবাদী চেতনা উন্মেষের বিশেষ প্রবণতা দেখা দিয়েছিল। সেই নিমিত্তেই লেখা হয়েছিল ঐতিহাসিক নাটক। গিরিশচন্দ্রের ঐতিহাসিক নাটকগুলির মধ্যে রয়েছে ‘চণ্ড’ (১৮৯০), ‘সিরাজদৌল্লা’ (১৮৬০), ‘মীরকাশিম’ (১৯০৬), ‘ছত্রপতি শিবাজী’ … বিস্তারিত পড়ুন

Share