রাষ্ট্রে অ্যারিস্টটলের অবদান | Aristotle’s contribution on State
ANS- অ্যারিস্টটল রাষ্ট্রের গঠন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি “নীতিশাস্ত্র” এবং “রাজনীতি” গ্রন্থে রাষ্ট্রের বিভিন্ন রূপ ও শ্রেণীবিভাগ বিশ্লেষণ করেছেন। তার মতে, সঠিক শাসনব্যবস্থা হলো যেখানে রাজা বা শাসক জনগণের কল্যাণে কাজ করে, এবং “মধ্যপন্থা” শাসন পদ্ধতির উন্নতি নিশ্চিত করে।
‘শেষ’ এবং ‘অর্থ’ সম্পর্কে ম্যাকিয়াভেলির মতামত | Machiavelli’s views on ‘ends’ and ‘means’
ANS- ম্যাকিয়াভেলি “শেষ” (ends) এবং “অর্থ” (means) সম্পর্কে বলেছিলেন যে, রাষ্ট্রের শাসককে তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কোনো উপায়ে দ্বিধা করা উচিত নয়। তাঁর মতে, শাসককে ক্ষমতা ধরে রাখতে এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করতে প্রয়োজনীয় যে কোনো উপায়, এমনকি নৈতিকভাবে বিতর্কিত হলেও গ্রহণ করা উচিত।
সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে বোডিনের দৃষ্টিভঙ্গি | Bodin’s view on sovereignty
ANS- জন বোডিন সার্বভৌমত্বকে একটি সর্বোচ্চ ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে, সার্বভৌম ক্ষমতা রাজ্যের উপর সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব রাখে, যা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়। সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করে, যা জাতীয় নিরাপত্তা ও শাসন নিশ্চিত করে।
প্রকৃতির রাষ্ট্র সম্পর্কে রুশোর ধারণা | Rousseau’s idea of State of Nature
ANS- জ্যঁ-জ্যাক রুশো প্রকৃতির রাষ্ট্র (State of Nature) সম্পর্কে তাঁর “দ্য সোশ্যাল কনট্রাক্ট” (The Social Contract) গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। রুশো তাঁর ধারণায়, প্রাকৃতিক অবস্থায় মানুষ ছিল মুক্ত, সমান এবং নিরপরাধ। তারা নিজের জীবনযাপন করত, অন্যদের প্রতি কোন নির্দিষ্ট দায়িত্ব না রেখে। তবে, সমাজ এবং সম্পত্তির উদ্ভবের পর ব্যক্তি স্বাধীনতা কমে যায় এবং সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হয়। এই কারণে, রুশো সামাজিক চুক্তির মাধ্যমে মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা এবং সমতা পুনরুদ্ধারের প্রস্তাব দেন, যেখানে সরকার জনগণের সম্মতিতে গঠন হয় এবং তাদের সাধারণ ভালোর জন্য কাজ করে।
লকের প্রাকৃতিক অধিকারের তত্ত্ব | Locke’s theory of Natural Rights
ANS- জন লকের প্রাকৃতিক অধিকারের তত্ত্ব অনুযায়ী, মানুষের তিনটি মৌলিক অধিকার রয়েছে: জীবন, স্বাধীনতা, এবং সম্পত্তি। এই অধিকারগুলি প্রাকৃতিক অবস্থায় মানুষের জন্য স্বীকৃত এবং সেগুলি রাষ্ট্রের মাধ্যমে রক্ষা করা উচিত। রাষ্ট্রের প্রধান কর্তব্য হলো এসব অধিকার সুরক্ষিত রাখা, অন্যথায় জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অধিকার রাখে।
মার্কসের উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্ব। Marx’s theory of Surplus value.
ANS- মার্কসের উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্ব অনুযায়ী, শ্রমিকরা তাদের শ্রমের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে, তবে উৎপাদিত পণ্যের পুরো মূল্য তারা পায় না। মালিকরা শ্রমিকের কাজে উৎপাদিত মূল্য থেকে অতিরিক্ত মুনাফা (উদ্বৃত্ত মূল্য) নিয়ে যায়, যা শ্রমিকদের শ্রমের দ্বারা সৃষ্ট কিন্তু তাদের কাছে ফিরে আসে না। এটি শোষণের প্রমাণ।