প্রথমত, সামাজিক প্রকৃতি: প্রতিষ্ঠানগুলি মানুষের সম্মিলিত বা যৌথ কর্মপন্থার মাধ্যমে কাজ করে থাকে। তাই প্রকৃতিগত বিচারে বলা যায়, এটি সামাজিক প্রকৃতির।
◇ দ্বিতীয়ত, সর্বজনীনতা প্রতিষ্ঠানগুলি প্রতিটি মানবসমাজেই স্বীকৃত ব্যবস্থা। সমাজ ভেদে শুধু গঠন, কাঠামো, কার্যকারিতা ইত্যাদি ভিন্ন হয়ে থাকে।
❖ তৃতীয়ত, মূল্যমানযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির কার্যকারিতা সমাজের হিতকর বা কল্যাণকর উদ্দেশ্যের সাথে সংযুক্ত। তাই সংশ্লিষ্ট সমাজস্থ ব্যক্তিরা এগুলি মেনে চলে এবং এগুলি মূল্যমানযুক্ত।
* চতুর্থত, প্রাথমিক প্রয়োজন পূরণ: মানুষের প্রাথমিক চাহিদা বা প্রয়োজন পুরণের উদ্দেশ্যেই প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়। মানুষ তার আত্মসংরক্ষণ, আত্মপ্রকাশ ও আত্মঅস্তিত্ব রক্ষার তাগিদেই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে।
• পঞ্চমত, সামাজিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান সামাজিক শৃঙ্খলাকে ধারণ ও স্থায়িত্ব প্রদান করে এবং মানবসমাজকে আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে পরিচালিত করে। তাই সামাজিক নিয়ন্ত্রণের একটি উপায় বা পদ্ধতি হলো প্রতিষ্ঠান।
* ষষ্ঠত, বিমূর্ত: প্রতিষ্ঠানগুলি বিমূর্ত, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয়।
◇ সপ্তমত, স্থায়িত্ব প্রতিষ্ঠানগুলি সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী প্রকৃতির। অনেক সময় কোনো সংঘ বিলুপ্ত হলেও তার প্রতিষ্ঠানগুলি সমজাতীয় সংঘ কর্তৃক অনুসৃত হয়।
* অষ্টমত, মৌখিক ও লিখিত রূপ: প্রতিষ্ঠানগুলি মৌখিক ও লিখিত উভয় প্রকার হয়ে থাকে। প্রাচীন সমাজে এগুলি প্রধানত মৌখিক ছিল কিন্তু বর্তমানের জটিল আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলি লিখিত আকারে হয়ে থাকে।
* নবমত, বস্তুগত ও অবস্তুগত উপাদান: প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সাথে অপরিহার্যভাবে যুক্ত থাকে বস্তুগত ও অবস্তুগত উভয় প্রকারের কিছু প্রতীকী বিষয়। যেমন- রাষ্ট্রের পতাকা, জাতীয় সংগীত ইত্যাদি।
* দশমত, পারস্পরিকতা: প্রতিষ্ঠানগুলি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। কোনো একটি প্রতিষ্ঠানকে জানতে হলে এর সাথে সম্পর্কযুক্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে জানতে হবে। যেমন-বিবাহ, পরিবার, ধর্ম এগুলি ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
* একাদশ, পরিবর্তনশীলতা: সামাজিক প্রতিষ্ঠান সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত হয়ে থাকে। সমাজ সর্বদা পরিবর্তনশীল, তাই প্রতিষ্ঠানগুলিও তার সঙ্গে সংগতি বজায় রেখে পরিবর্তনশীল হয়।