রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্ত্রীর পত্র’ গল্পটিকে কোন পর্বের অন্তর্ভুক্ত করা হয়? রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের ক্ষেত্রে এই পর্বের বৈশিষ্ট্য লেখো।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্ত্রীর পত্র’ গল্পটিকে কোন পর্বের অন্তর্ভুক্ত

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্ত্রীর পত্র’ গল্পটি তাঁর “কালান্তর পর্ব” (বা “কৃষ্ণকাল”)-এর অন্তর্ভুক্ত। এই পর্বটি রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্মের এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়, যা তার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন সংকট এবং জাতীয়-রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন ঘটায়।

রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্যগুলো:

সমাজের পরিবর্তন এবং বিদ্রোহের সুর: এই পর্বের গল্পগুলোতে রবীন্দ্রনাথ সমাজের প্রচলিত রীতিনীতি, বিশেষ করে নারীর অবস্থান, পুরুষতান্ত্রিকতা, এবং সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। ‘স্ত্রীর পত্র’ গল্পে মৃণালের বিদ্রোহী চিঠি এই বৈশিষ্ট্যের অন্যতম উদাহরণ।

চরিত্রের গভীরতা ও মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: এই পর্বের গল্পগুলোতে রবীন্দ্রনাথ চরিত্রগুলোর মনস্তাত্ত্বিক দিক এবং অভ্যন্তরীণ জগতের বিশ্লেষণে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। মৃণালের মতো চরিত্রগুলোতে আত্মমর্যাদা, আত্মজ্ঞান, এবং মুক্তির আকাঙ্ক্ষা প্রকাশিত হয়েছে।

নারী স্বাধীনতার প্রতি সচেতনতা: ‘স্ত্রীর পত্র’ গল্পের মতো গল্পগুলোতে নারীর স্বাধীনতার প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ এই পর্বে নারীর মানসিক এবং সামাজিক মুক্তির বিষয়টি সাহিত্যে তুলে ধরেছেন।

আত্মিক ও নৈতিক জিজ্ঞাসা: এই পর্বের গল্পগুলোতে আত্মিক এবং নৈতিক প্রশ্নগুলির প্রতি রবীন্দ্রনাথের গভীর অনুসন্ধান দেখা যায়। তিনি ব্যক্তির মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব এবং সামাজিক চাপে ব্যক্তির অবস্থান নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন।

সংক্ষেপে, কালান্তর পর্ব রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পে সামাজিক পরিবর্তন, নারী স্বাধীনতা, এবং চরিত্রের গভীর মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের দিক থেকে এক বিশেষ গুরুত্ববহ পর্ব।

Share

Discover more from

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading