যোগ শিক্ষার অর্থ, সংজ্ঞা, প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য ও লক্ষ্য ব্যাখ্যা কর।

শিক্ষার সংজ্ঞা (Definition of Education) :

• স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন : ‘Education is the manifestation of the perfection already in man.’। অর্থাৎ মানুষের অন্তর্নিহিত সত্তার পরিপূর্ণ বিকাশই হল শিক্ষা।
• মহাত্মা গান্ধির মত অনুসারে, শিক্ষা মানুষের দেহ মন এবং আত্মার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটায়।
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন শিক্ষা শুধুমাত্র তথ্য পরিবেশন করে না, বরং বিশ্বপ্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানের মাধ্যমে মানবজীবনকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে গড়ে তোলে।
• ঋষি অরবিন্দের মতে, শিক্ষার লক্ষ্য হল মানুষকে দিব্যজীবনের জন্য প্রস্তুত করা।
• প্লেটো (Plato) – র মতে, শিক্ষা হল এমন একটি ধারণাশক্তি যা সঠিক মুহুর্তে আনন্দ ও বেদনা অনুভবে সাহায্য করে। এটি ছাত্রছাত্রীর দেহ ও মনের সৌন্দর্য ও অন্তর্নিহিত পূর্ণতাকে বিকশিত করে।
• অ্যারিস্টটল (Aristotle) বলেছেন, সুস্থ দেহে সুস্থ মনের সৃষ্টিই হল শিক্ষা। এটি মানুষের মধ্যে এমন এক সত্তার আবির্ভাব ঘটায় যার দ্বারা মানুষ বিস্ময়কর শাশ্বত সত্য, মহত্ব এবং সুন্দরের আরাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করতে সমর্থ হয়।
• রুশো (Rousseau) বলেছেন, শিক্ষা হল শিশুর স্বতঃস্ফূর্ত আত্মবিকাশ, যা মানবসমাজের সমস্ত কৃত্রিমতাবর্জিত একটি স্বাভাবিক মানুষ তৈরিতে সহায়ক।
• পেস্তালৎসি (Pestalozzi) -র মতানুসারে, শিক্ষা হল মানুষের সহজাত ক্ষমতাগুলির স্বাভাবিক সুসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ক্রমোন্নয়নমূলক বিকাশ (Education is the natural, harmonious and progressive development of man’s innate powers)।
• ফ্রয়েবেল (Froebel)- এর মতে, শিক্ষা হল সেই বিকাশ প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যক্তি প্রকৃতির রাজ্যে নিজের বিস্তৃতি ঘটায় মানবসমাজের সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করে।

সাংখ্য দর্শনে যোগ শিক্ষার নীতিগুলি:

মানুষের জ্ঞানলাভের কাজ যে পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয় তাকে প্রমাণ বলে। অর্থাৎ, প্রমাণ হল জানার উৎস। সাংখ্য মতে মানুষের জানার কাজ সম্পূর্ণ হয় প্রধানত তিনটি উৎসের মাধ্যমে। এই উৎস গুলি হল প্রত্যক্ষ, অনুমান ও শব্দ।
1) প্রত্যক্ষ: প্রত্যক্ষ মানে উপলব্ধি। জ্ঞানেন্দ্রিয় সঙ্গে সরাসরি সংযােগের ফলে প্রত্যক্ষ সম্ভব হয়। প্রত্যক্ষ দু’প্রকার –
নির্বিকল্প প্রত্যক্ষ: নির্বিকল্পক প্রত্যক্ষ হল প্রত্যক্ষের প্রাথমিক স্তর। কোন বস্তু প্রথম ইন্দ্রিয়ের গােচরীভূত হলে বস্তুটির কোন বৈশিষ্ট্য প্রত্যক্ষ করা যায়না। বস্তুর এই প্রাথমিক প্রত্যক্ষকে নির্বিকল্প প্রত্যক্ষ বলা হয়। নির্বিকল্প প্রত্যক্ষে কেবলমাত্র কোন বস্তুর অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ হয়, বস্তুটি সম্পর্কে জ্ঞান শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা যায় না।

সবিকল্প প্রত্যক্ষ: ঠিক পরমুহূর্তে বিচার ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে বস্তুটির বৈশিষ্ট্য যখন অনুধাবন করা সম্ভব হয় তখন তাকে সবিকল্প প্রত্যক্ষ বলা হয়।
2) অনুমান: যুক্তি প্রয়োগ করে এক বা একাধিক পর্যবেক্ষণ এবং পূর্ববর্তী সত্য থেকে একটি নতুন সিদ্ধান্তে পৌঁছানাে। সাংখ্য মতে, কার্যকারণের অবিচ্ছেদ্য সূত্র ধরে আমরা প্রত্যক্ষ থেকে অপ্রত্যক্ষে পৌঁছাই। ধোঁয়া পর্যবেক্ষণ করে, আগুন অনুমান করা।
3) শব্দ: শব্দ একটি বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান দান করে। কতগুলি শব্দ বিশেষ পদ্ধতিতে সজ্জিত হলে একটি বাক্য গঠিত হয়। কোন বাক্যকে সঠিকভাবে বুঝতে হলে যে শব্দগুলাে দিয়ে বাক্যটি গঠিত ‌হয়েছে সেগুলির অর্থ যথাযথভাবে বুঝতে হবে। সাংখ্য দর্শনে প্রকৃত জ্ঞানের উৎস হল বেদ। সাংখ্য দার্শনিকরা বেদ ভিত্তিক শব্দ ছাড়া আর কোন শব্দের প্রামাণ্য স্বীকার করেনা।

কিভাবে যোগব্যায়াম সাহায্যে চাপ কমানো :

• কার্যত যে সব কিছু আমাদের চারপাশে ঘিরে আছে, তা কিছুটা চাপে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। কোনও সামাজিকভাবে সক্রিয় ব্যক্তির জন্য, এই সমস্যাটি প্রায়ই জরুরী হয়ে যায়। তীব্র পরিস্থিতিতে সঙ্গে মানিয়ে অনেক পদ্ধতি এবং উপায় আছে আমরা যেমন যোগফল হিসাবে একটি কার্যকর পদ্ধতি বিবেচনা করবে কিভাবে যোগব্যায়াম সাহায্যে চাপ কমানো – এই ঠিক আজ আলোচনা করা হবে ঠিক কি।
যোগব্যায়াম সহজ আসন সাহায্যে দিনের সময় সঞ্চিত যে স্নায়বিক টান অপসারণ করা যাবে। স্ট্রেস এবং উদ্বেগ দূরে যেতে হবে। ব্যায়াম শক্তির পর্যায়ে শরীর পুনরুদ্ধার করা হবে, একটি শান্ত এবং সুষম ব্যক্তি আপনি চালু।

সূর্য উপাসনা-আপনি সোজা দাঁড়ানো, আপনার পায়ে একসাথে রাখা আছে। স্তনের আগে, আমরা প্রার্থনা একটি দাঁত মধ্যে আমাদের হাত গুঁড়ো। সমানভাবে নাক মাধ্যমে শ্বাস ফেলা এবং শিথিল। আমাদের চোখ বন্ধ করুন এবং আমাদের মনোযোগ মনোযোগ না হৃদয় চক্র (এটি হৃদয় এলাকায়, যথাক্রমে) উপর না। এই সব মনোযোগ ভবিষ্যতে সাহায্য করবে।

বিপরীত দমন আমরা পিছনে নিচে রাখা এবং আমাদের ফুট প্রাচীর বাড়াতে। আমরা প্রাচীর খুব জোরাজুরি নিতম্ব প্রেস, এবং মেঝে আমরা নিম্ন ফিরে টিপে। আমরা খুব মৃদুভাবে পায়ের পেশী স্ট্রেন। শরীরের উপর হাত রাখুন, তারপর – আমরা তলদেশে শক্তিশালী তাদের উপর তল। আমরা উপরে উপরে, বুকে, চিবুক নাক মাধ্যমে আমরা মসৃণ এবং ধীরে ধীরে শ্বাস ফেলা। তাই আপনার শরীর আরো নিচে calms, আপনার চোখ বন্ধ, তাদের চারপাশে একটি ব্যান্ডেজ tying। পাঁচটি শ্বাসযন্ত্রের চক্র এই অবস্থানে আছে। এই পোষাক খুঁজে পেতে, আপনার বুকে আপনার বুকে এবং আপনার পাশের উপর রোল।
বিস্তৃত প্রাচীর উপর তার পা ছড়িয়ে বা একসঙ্গে গুটান, এটি বিপরীত ভঙ্গি পরিবর্তিত হতে পারে।

মেঝে উপর বসুন এবং আমাদের ফুট চালু। এই সময়ে, নিতম্ব – হিল মধ্যে। আমরা কাঁধে প্রলম্বিত আপনার হাঁটু উপর হাত হাত আপ রাখুন আপনার নাক মাধ্যমে ধাক্কা, মসৃণভাবে ফিরে সোজা হয় Ischium হাড় দৃঢ়ভাবে মাটিতে চাপা হয়। দৃশ্যটি চোখের প্যাটার্নে সামনে এগিয়ে রয়েছে এমন বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত হওয়া আবশ্যক। যতক্ষণ আপনি আরামদায়ক মনে করেন ততক্ষণ পর্যন্ত এই অবস্থানে থাকতে হবে।

আমরা আলতো করে “Virasana 1” থেকে “Virasana 2” থেকে সরানো। আপনার মাথা উপর আপনার অস্ত্র উত্থাপন, ধীরে ধীরে শিথিল। এক্সহ্যালিং, আমরা প্রথম দিকে তাদের এগিয়ে প্রসারিত, শরীরের সাথে একসাথে, এবং শুধুমাত্র তারপর আমরা তল পড়ে। মাটির কপাল স্পর্শ, তার থেকে নিতম্ব বন্ধ না করার চেষ্টা করুন। নিজেকে নিমজ্জিত করুন, আপনার চোখ বন্ধ করুন এবং শিথিল করুন। এই অবস্থানে, পাঁচ শ্বাসযন্ত্রের চক্র রয়েছে। এক্সহ্যালিং, আমরা শুরু অবস্থানে ফিরে।

জানুয়ার স্যারসাসান-তার সামনে তার পা প্রসারিত, তল উপর বসুন ডান পায়ের হাঁটু মধ্যে বাঁক, জাড় উপরে কাছাকাছি হিল pulling। পাদদেশটি চালু করা, এটি খুলুন, হাঁটুটিকে মেঝেতে কমিয়ে আনুন (এটি জাং স্তরের তুলনায় কম হওয়া উচিত)। বাম পা এগিয়ে এগিয়ে pulls; অনুপ্রেরণা সময়, শরীরের সামনে অর্ধেক কোমর থেকে প্রসারিত। শ্বাসনামা – আমরা লেগ উপর মোড়ানো। আমরা উভয় ফুট জন্য হাত রাখা। আমরা শরীরটি একটু আলগা করে ফেলি, যাতে তার অক্ষের লাইন পাদদেশের মাঝখানে ছিল। উপরন্তু, আমরা বিকল্পভাবে পেট নিচে, তারপর বুকে, তারপর – মাথা। ধীরে ধীরে শ্বাস, প্রতিটি শ্বাস সঙ্গে শরীরের প্রসারিত। এবং কম ক্ষেত্রে কম করার চেষ্টা করুন। আমরা পাদদেশের পায়ে তাকিয়ে থাকি, যা এগিয়ে নিয়ে যায়। আমরা পেট এবং পিঠের পেশী শিথিল ফোকাস উপর ফোকাস।

শিশুর পস-মেঝে উপর বসা, আমরা হিল নেভিগেশন আমাদের নিতম্ব করা। আমরা আমাদের হাঁটু শরীরের নিচে, এটি পিছন দিকে বরাবর আমাদের হাত stretching, এবং হাতল আপ। আমরা কপালে মাটির নিচে চাপাচ্ছি, আমরা কাঁধের নিচে, আমরা সম্পূর্ণরূপে শিথিল করার চেষ্টা করি, একেবারে শান্ত অবস্থায় নিমজ্জিত করি। আমরা স্বাভাবিকভাবেই ধীরে ধীরে, ধীরে ধীরে। আমরা আমাদের চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম আমরা এই অবস্থানে কয়েক মিনিটের জন্য থাকুন। অনুপ্রেরণা এ আমরা এই অবস্থান ছেড়ে।

ঊধ্বৎ মুগ্ধ জীবনযাপন:
আমরা মেঝে উপর রাখা, আমাদের পায়ের পিছনে pulling, আমাদের পায়ে বাঁক, যাতে বাইরের দিকে সম্পূর্ণরূপে তলদেশে মেনে চলে। কাঁধের নীচে আমরা কাঁধের স্তরের উপর নির্ভর করি, কপালের নীচে তলপেট থেকে অনুপ্রেরণা উপর আমাদের হাত আরও ঠেলাঠেলি, উপরে জিনিষ একই সময়ে উদ্ধরণ: শরীর, নিতম্ব, কাঁধ এবং মাথা। নিতম্ব স্ট্রেনিং, নিম্ন ফিরে থেকে পর্যন্ত stretching। আপনার হাত সোজা আমরা ফিরে আমাদের কাঁধ নিতে। আমরা বুক খুলি আমরা ফিরে মাথার নীচে। নিম্ন ঢালু থেকে ঢাল, একটি ঢাল সঞ্চালন শুরু, শ্বাস সঙ্গে সাহায্য। আমরা “তৃতীয় চোখের” (ভ্রু মধ্যে আপ) বিন্দু তাকান। উষ্ণতা সঙ্গে তীব্র নিচ থেকে ফিরে। ঢাল ফিরে বাড়ান। আমরা নাকে মাধ্যমে মসৃণ, গভীরভাবে, শ্বাস ফেলা এই অঙ্গবিন্যাস মধ্যে, পাঁচ চক্র রয়েছে, শ্বাসযন্ত্র।