মহাকাব্যের ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘এপিক’। দেশকালের সীমায় আবদ্ধ একটি জাতির আবর্তন-বিবর্তন রেখাটি, তার চেতনা ও জনজীবনের সমগ্র রূপটি যে বৃহৎকাব্যে ধরা পড়ে, তাকে বলে মহাকাব্য। রবীন্দ্রনাথের মতে-“যেন তাহা বৃহৎ বনস্পতির মতো দেশের ভূতলজঠর হইতে উদ্ভূত হইয়া সেই দেশকে আশ্রয়দান করিয়াছে।” মহাকাব্যকে দু-ভাগে ভাগ করা যায়-জাতীয় মহাকাব্য ও সাহিত্যিক মহাকাব্য। পৃথিবীতে চারটি জাতীয় মহাকাব্য রয়েছে-রামায়ণ, মহাভারত, ইলিয়ড ও ওডিসি। সাহিত্যিক মহাকাব্যের সার্থক দৃষ্টান্ত মাইকেল মধুসূদনের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’।
বাংলা মহাকাব্যের সূচনা করার আগে আমাদের আলোচনা করা উচিত রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ কাব্যের। আলাউদ্দিনের চিতোর আক্রমণ ও তা থেকে বাঁচতে পদ্মিনীর জহরব্রতে আত্মবিসর্জনের কাহিনি নিয়ে কবি এই কাব্য গড়ে তুলেছিলেন। স্বদেশচেতনার আলোয় তিনি বাঙালিকে দীক্ষিত করতে চেয়েছিলেন এই কাব্যে-