মধুসূদন দত্তের রচিত দুটি প্রহসনের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের একজন উজ্জ্বল কবি এবং নাট্যকার। তিনি বাংলা নাটকের প্রহসন শাখায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। তাঁর রচিত দুটি উল্লেখযোগ্য প্রহসন হলো “শ্যামসুন্দর” এবং “মেঘনাদবধ কাব্য”।
এখানে এই দুটি প্রহসনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হলো:
১. শ্যামসুন্দর (১৮৬০)
প্রহসনের পরিচয়:
• লেখক: মধুসূদন দত্ত
• প্রকাশকাল: ১৮৬০
• প্রকার: প্রহসন
• ভাষা: বাংলা
• ধরন: হাস্যরসাত্মক নাটক
মূল কাহিনী: “শ্যামসুন্দর” একটি হাস্যরসাত্মক প্রহসন যা একটি নাট্যকমেডি। নাটকের কাহিনী revolves around a mistaken identity and the humorous situations that arise from it. শ্যামসুন্দর, একজন সৎ, ভাল মানুষ, যিনি নানা হাস্যকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন। নাটকের কাহিনীতে অনেক হাস্যকর ঘটনা ও চরিত্রের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি উঠে এসেছে।
প্রধান চরিত্র:
• শ্যামসুন্দর: নাটকের নায়ক, একজন সৎ ও ধার্মিক মানুষ।
• রামশী: শ্যামসুন্দরের বন্ধু, যিনি নানা রকম হুমকি ও অযাচিত পরিস্থিতিতে পড়েন।
• কালী: শ্যামসুন্দরের স্ত্রী, যে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে শ্যামসুন্দরকে সাহায্য করেন।
নাটকের বৈশিষ্ট্য:
• হাস্যরস: প্রহসনের মাধ্যমে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের হাস্যকর দিকগুলি তুলে ধরা হয়েছে।
• চরিত্র নির্মাণ: নাটকে বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে সমাজের নিত্যদিনের হাস্যকর দিকের প্রদর্শন করা হয়েছে।
২. মেঘনাদবধ কাব্য (কাব্যগ্রন্থ, ১৮৬১)
প্রহসনের পরিচয়:
• লেখক: মধুসূদন দত্ত
• প্রকাশকাল: ১৮৬১
• প্রকার: মহাকাব্য
• ভাষা: বাংলা
• ধরন: মহাকাব্য
মূল কাহিনী: “মেঘনাদবধ কাব্য” মূলত একটি মহাকাব্য হলেও এটি প্রহসনের আঙ্গিকে লেখা হয়নি। তবে, মধুসূদন দত্তের নাটকীয় প্রকৃতির সাথে এটি সম্পর্কিত। কাব্যের কাহিনী রাজা রাবণের পুত্র মেঘনাদের মৃত্যুর বর্ণনা দেয়, যা রামায়ণের একটি অংশ। এই কাব্যটি প্রহসনের চেয়ে মহাকাব্যের ত্রাণদায়ক ও নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচিত।
প্রধান চরিত্র:
• মেঘনাদ: রাবণের পুত্র, যিনি একজন সাহসী এবং শক্তিশালী যোদ্ধা।
• রামচন্দ্র: মূল হিরো, যিনি মেঘনাদের সাথে যুদ্ধ করে তাকে পরাজিত করেন।