বিদ্যাপতির সমসাময়িক একজন শ্রেষ্ঠ কবি চণ্ডীদাস
চৈতন্য পূর্ব যুগে বিদ্যাপতির সমসাময়িক একজন শ্রেষ্ঠ রাধাকৃষ্ণ-পদাবলি রচয়িতা কবি চণ্ডীদাস । যিনি বাংলা ভাষায় প্রথম পদাবলি সাহিত্য রচনা করেন । এবং চণ্ডীদাস জাতিতে ব্রাত্মণ ছিলেন । চণ্ডীদাসকে নিয়ে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে কারন – চণ্ডীদাস নামধারী অন্তত চারজন কবি ছিলেন বলে সাহিত্যের ঐতিহাসিকগণ সমস্যায় পড়েছেন যার প্রকৃত সমাধান এখনও হয়নি ।
আমরা যে চণ্ডীদাসকে বেশি চিনি তিনি হলেন পদাবলির চণ্ডীদাস বা পদকর্তা ।যিনি প্রাক-চৈতন্যযুগের কবি (পঞ্চদশ শতাব্দী)।জনশ্রুতি অনুসারে বীরভূম জেলার অন্তর্গত নানুর গ্রামে মতান্তরে বাঁকুড়ার ছাতনা গ্রামে। (সম্ভবত ১৪১৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁর জন্ম হয়) তিনি বাশুলি বা চণ্ডীর উপাসক ছিলেন। পরে সহজমার্গের সাধনায় কবি ব্রতী হন। ‘রামী’ নামে এক রজক কন্যাকে সাধনসঙ্গিনীরূপে গ্রহণ করেন। চণ্ডীদাস নামে অনেক কবির কথা জানা গেছে তারা হলেন- দীন চণ্ডীদাস, দ্বিজ চণ্ডীদাস, বড়ু চণ্ডীদাস, সহজিয়া চণ্ডীদাস । চণ্ডীদাস মুলত সহজিয়া পন্থী ধরনের কবি ছিলেন । তার লেখনী ভাব ধারায় পূর্বরাগ পর্যায়ে চণ্ডীদাস শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন এই পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবি ।(ক) প্রথম যে চণ্ডীদাসের নাম পাওয়া যায় তিনি চৈতন্যপূর্ব যুগের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’-রচয়িতা বড় চণ্ডীদাস। (খ) চৈতন্য পূর্ব বা সমকালে চণ্ডীদাস নামে আর একজন পদকর্তা ছিলেন, চৈতন্যদেব যাঁর পদাবলি কীর্তন শুনতে ভালোবাসতেন। (গ) চৈতন্যোত্তর যুগের সুস্পষ্ট লক্ষণ তৃতীয় একজন চণ্ডীদাস নামাঙ্কিত পদে পাওয়া যায়। (ঘ) চতুর্থ আর একজন চণ্ডীদাস ছিলেন, যিনি চৈতন্যোওর যুগের সহজিয়া রসের পদগুলি রচনা করেছেন ।
চণ্ডীদাস সম্পর্কে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মন্তব্য করেছিলেন – ‘চণ্ডীদাস সহজ ভাষায় সহজ ভাবের কবি—এই গুণে তিনি বঙ্গীয় প্রাচীন কবিদের মধ্যে প্রধান কবি’। মহাপ্রভু যে চণ্ডী দাসের পদ আস্বাদন করতেন তার প্রমাণ পাই কৃষ্ণ দাস কবিরাজ্ রাচিত ‘চৈতন্যচরিতামৃত’ গ্রন্থে । সেখানে বলা হয়েছে—
“চণ্ডীদাস বিদ্যাপতি রায়ের নাটকগীতি
কর্ণামৃত শ্রীগীতগোবিন্দ ।
স্বরূপ রামানন্দ সনে মহাপ্রভু রাত্রিদিনে
গায় শুনে পরমানন্দ ।।‘’
চৈতন্য-পূর্ব যুগের আমরা দুজন বিখ্যাত পদাবলি রচয়িতার নাম পাই তারা হলেন চণ্ডীদাস ও বিদ্যাপতি । যেখানে চণ্ডীদাস ভার পদে প্রথম থেকেই চণ্ডীদাস রাধার বৈরাগ্যময়ী তপস্বিনী মূর্তি চিত্রিত করেছেন। তাঁর রাধার চরিত্রে মর্ত্যচেতনা নেই, চরিত্রের বিবর্তন বা বিকাশ নেই।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চণ্ডীদাসকে দুঃখের কবি বলেছিলেন এবং চণ্ডীদাস সম্পর্কে, বঙ্কিমচন্দ্র কথা বলেছিলেন সায়াহ্ন সমীরণের দীর্ঘশ্বাস।
চণ্ডীদাসের রাধার প্রেমচেতনার স্বরূপ উদঘাটন
চণ্ডীদাসের কবিতায় রাধার যে প্রেম তা এক গভীরতম জীবন বোধের নির্যাস । চণ্ডীদাস দুঃখের মধ্যে সুখ ও সুখের মধ্যে দুঃখকে প্রত্যক্ষ করেছেন। তাঁর রাধা প্রেমসাধনায় ব্যাকুল ও গভীর। প্রেমসাধনায় তিনি দুঃখসংহার তপস্যার মধ্যে ভূমানন্দের সাক্ষাৎ পেয়েছেন। চরম ও পরম কিছুকে পেতে হলে অজস্র দুঃখবেদনার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হয়। ‘ক্ষুরস্য ধারা নিশিতা দুরত্যয়ার মধ্য দিয়ে চণ্ডীদাসের রাধার সাধনা।
চণ্ডীদাসের পদাবলিতে প্রেমের রূপ
চণ্ডীদাসের পদাবলিতে প্রেমের শ্রেয়বোধ অপার্থিব রসলোক সৃষ্টি করেছে। সেখানে উপভোগের কামগন্ধ নেই। আছে আনন্দানুভূতির নিবিড় আনন্দ। চণ্ডীদাসের পদে দেহ ও রূপসৌন্দর্যের দিকটি যথেষ্ট উপেক্ষিত বলে তার আধ্যাত্মিক ভাবুকতা সকলের চিত্তকে আকৃষ্ট করে ।
চণ্ডীদাসের সঙ্গে বিদ্যাপতির পার্থক্য
চণ্ডীদাস গ্রামবাংলার কবি। পাণ্ডিত্যবর্জিত সহজসরল ভাষায় তিনি রাধাকৃষ্ণ-বিষয়ক পদ রচনা করেন। অন্যদিকে বিদ্যাপতি নাগরিক কবি পণ্ডিত। তাই তাঁর রচনায় বাকবৈদগ্ধ ও মণ্ডলকলার বৈচিত্র্য আছে। রবীন্দ্রনাথের মতে : (ক) বিদ্যাপতি সুখের কবি, চণ্ডীদাস দুঃখের কবি’ । (খ) চণ্ডীদাস গঙীর এবং ব্যাকুল, বিদ্যাপতি নবীন এবং মধুর।
চণ্ডীদাসের পদাবলির কাব্যমূল্য নির্ধারণ
চণ্ডীদাসের কবিতায় শিল্পকৃতি বাসাহিত্যিক সৌন্দর্যের আড়ম্বর নেই । ভাকগভীরতার জন্য তিনি সর্বজনমনোহর । তার পদাবলির সহজ সরল সুরে মানবজীবনের দেশকালাতীত আনন্দবেদনার বাণী ধ্বনিত হয়েছে। চণ্ডীদাস মনোজ্ঞ কবি । দীনেশচন্দ্র সেনের ভাষায় ‘চণ্ডীদাসের পদে শব্দের ঐশ্বর্য অপেক্ষা শব্দের অল্পতাই ইঙ্গিতে বেশি কাজ করে । চণ্ডীদাস একছত্র লিখে পাঠককে দুছত্র লিখিয়ে নেন।
চণ্ডীদাসের রচনারীতির বৈশিষ্ট্য
চণ্ডীদাসের রচনারীতি বৈশিষ্ট্যদ্যোতক ও স্বাতন্ত্র্যদীপ্ত। একান্ত সহজ সরল গ্রাম্য জনগণের প্রচলিত আটপৌরে ভাষায় তিনি পদাবলি রচনা করেছেন। সাধারণ বাঙালির দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত ভাষাতেই তার পদ রচনা । কিন্তু সেই সর্বজনপরিচিত লৌকিক ভাষা চণ্ডীদাসের সহজাত প্রতিভার স্পর্শে অলৌকিক ভাবব্যঞ্জনায় শিল্পমূল্য পেয়েছে। তাঁর ভাষা শব্দের বন্ধন ছাড়িয়ে ভাবের স্বাধীন লোকে উধ্বগামী হয়েছে। ভাষার অলংকরণে সচেতনভাবে প্রয়াসী না হলেও কল্পনায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে আবেগে যা সৃষ্টি করেছেন তা গভীর ভাবব্যঞ্জনায় শ্রেষ্ঠ শিল্পরূপ লাভ করেছে।
চণ্ডীদাসের পদাবলির ভাষারীতি
চণ্ডীদাসের ভাষা রবীন্দ্রনাথের কথায় ছেড়েছে তার সকল অলংকার। অলংকারহীন ভাষার অলংকার মাধুর্য ও কাব্য-সৌন্দর্য অনুপম। চণ্ডীদাসের কাব্যে বাকচাতুর্য অলংকার ও চিত্রপ্রয়গের চেষ্টা নেই। অথচ পরিপূর্ণ হয়ে আছে ভাবগভীর অনুভূতি। প্রেমের পদাবলি রচনায় চণ্ডীদাস সর্বকালের লোককান্ত কবি। দুঃখের বেদনায় চোখের জলে গড়া তার পদাবলিতে স্বর্গের অমৃত উছলে পড়েছে। বঙ্কিমচন্দ্র তাই বলেছেন, চণ্ডীদাসের কবিতা ‘সায়াহ্ন সমীরণের দীর্ঘশ্বাস’। অর্থাৎ বেদনা ও ব্যাকুলতা চণ্ডীদাসের পদের মূল সুর বলে তার সর্বজনীন আবেদন আছে। সেইজন্যই মানুষের অন্তরাত্মা সহজে জেগে ওঠে।
চণ্ডীদাসের ভাষা বাঙালীর মুখের ভাষা
ভাষা নির্মাণে কবি চণ্ডীদাসের কৃতিত্ব প্রশংসনীয়। মুখের ভাষা গভীরতম আবেগ ও হৃদয়ের নিভৃততম রহস্যকে প্রকাশ করতে যে সক্ষম, তার প্রমাণ চণ্ডীদাস। বাঙালি জীবনের গ্রামীণরূপ, মানুষের বিবিধ সংস্কার, সমাজপতির শাসন, পারিবারিক জীবন, নরনারীর নীতি বোধ প্রভৃতি আপাততুচ্ছ বিষয়গুলি চণ্ডীদাসের পদে মূর্ত। প্রচলিত পরিচিত শব্দকে তিনি একটু পরিবর্তন করে কাব্যকৌলিন্য দান করেছেন। কালা, কালিয়া, বধু, বিনোদ বধুয়া, ফাঁদ, মোহনিয়া ফাঁদ, পরাণপুতলি, শ্যামমন পাখি, কালোমানিকের মালা ইত্যাদি তার দৃষ্টান্ত ।
কবি চন্ডীদাসের মৌলিকতা
গ্রামীণ বাংলার মরমিয়া কবি চণ্ডীদাসের পাণ্ডিত্য ছিল না। সহজ অনুভবের পথ ধরেই তাঁর কাব্যসাধনা। অলংকার শাস্ত্রের সঙ্গে জীবনরসকে তিনি মিলিয়ে বিধিসম্মত কাব্য রচনা করেছেন। চণ্ডীদাসের ভাষা সহজ। তিনি সহজ ভাষায় সহজ ভাবের সহজ কবি। গ্রামীণ মাধুর্য, আবেগের গভীরতা ও দুঃখ বোধের দ্যোতনায় তাঁর কাব্য প্রেমচেতনা ও ভক্তিভাবুকতার অপূর্ব মাধুর্যে ভরে উঠেছে ।
পূর্বাগের শ্রেষ্ঠ কবি কে ? তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের কারণ কী ?
চণ্ডীদাস পূর্বরাগের শ্রেষ্ঠ কবি। তার পূর্বরাগের পদগুলিতে শ্রীরাধার হৃদয়গ্রাহী ব্যাকুলতা যে বেদনাঘন ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে সমগ্র বৈষ্ণব পদসাহিত্যে তার তুলনা নেই। মানবহৃদয়ের চিরন্তন প্রেমাকূলতা যেন এসকল পদে রূপ লাভ করেছে। মানবিক আবেদনে সর্বজনস্বীকৃত একটি পূব্রাগের পদ—
“সই কেবা শুনাইল শ্যাম নাম।
কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিল গো
আকুল করিল মোর প্রাণ।”
চণ্ডীদাসের কাব্য মানবতা, মর্ত্যপ্রীতি ও বাস্তবতার ত্রিবেণী সঙ্গম। রাধাকৃষ্ণের প্রেমকথা বলতে গিয়ে তার পক্ষে এই মানবতা থেকে বিস্মৃত হওয়া সম্ভব হয়নি। পল্লিকবি আসলে সহজিয়া দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেছিলেন—‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। মানবজীবন ধন্য, কেননা মানবের সাধনা নির্মল নয়ন, রাধাকৃষ্ণের অপ্রাকৃত প্রেমলীলা দেখতে পারে। কবির চেতনায় ও উপলদ্ধিতে আধুনিকতার সুর ধ্বনিত। জগৎ ও জীবনের লীলাই হল তার দর্শন ।
চন্ডীদাসের ভাষায় একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য
সদাই ধেয়ানে/চাহে মেঘ পানেনা চলে নয়নতারা/বিরতি আহারে/রাঙ্গাবাস পরে/যেমত যযাগিনী পারা ।”—এখানে ‘ধ্যান শব্দটির পরিবর্তে ‘ধেয়ান’ শব্দের ব্যবহারে উচ্চারণের সরলতা যেমন এসেছে তেমনি ওই অংশটির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়েছে। একই সঙ্গে এখানে নয়ান’ শব্দেরব্যবহারে ছন্দের স্বাভাবিকত্ব রক্ষা করেছে। লােকজীবনে ব্যবহৃত ‘রা’ অব্যয়টির ব্যবহার পদটিকে সৌন্দর্যময় করে তুলেছে। অর্থাৎ স্বরভক্তি বা বিপ্রকর্যের প্রয়ােগ ও লোক জীবনে ব্যবহূত বিভিন্ন অব্যয়ের উপযুক্ত ব্যবহারে, একদিকে যেমন আছে সৌকুমার্য, অন্যদিকে এসেছে উচ্চারণের সরলতা। অলংকারের প্রয়গ না করেও যে বাক্য রসময় হতে পারে চণ্ডীদাস তার পরিচয় দিয়েছে— ‘সই, কেবা শুনাইল শ্যামনাম’ পদটি তার উদাহরণ ।বৈষ্ণবদের কাছে চণ্ডীদাসের পদাবলির একটা ধর্মীয় মূল্য আছে। কারণ চৈতন্যদেব তার পদ আস্বাদন করেছিলেন। সেইজন্য বৈষ্ণবরা চণ্ডীদাসকে ‘মহাজন বলেছেন ।
চণ্ডীদাসের কবি প্রতিভার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য কী
চণ্ডীদাসের কবিপ্রতিভার একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য তাঁর গীতিপ্রাণতা। তিনি যেন সৃষ্ট রাধার মধ্যে আপনাকে মিশিয়ে ফেলেছেন। রাধার বিরহ ক্রন্দনে যেন চণ্ডীদাসের ব্যক্তি অনুভূতি আর্ত। চণ্ডীদাসের কবিতায় ভাবাবেগের প্রাধান্য লক্ষিত। রাধার প্রেমানুভূতিতে এক ইন্দ্রিয়ে অনির্বচনীয় আত্মহারা ভাব আছে। নিখিলের রূপ থেকে অরূপের দিকে চিরন্তন সৌন্দর্য ও প্রেমকামনার এবং বিরহের সুতীব্র আর্তি চণ্ডীদাসের কবিতার শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
পদাবলি রচয়িতা চণ্ডীদাসের শিল্পচেতনার পরিচয়
চণ্ডীদাসের কবিতায় ভাবগভীরতা রূপ ধরেছে শব্দবন্ধে। অথচ আপাতদৃষ্টিতে শব্দবন্ধ বা অলংকরণের প্রতি কোন প্রবণতাই কবির নেই। চণ্ডীদাসে প্রসাধন নেই, কিন্তু স্বাভাবিক রুপসিপি আছে। কবি যেন চেষ্টা না করেই শব্দে শব্দে ছবির আভাস দিয়েছেন, কবির সংকেতে রহস্যগভীর ভাবব্যাকুলতা ফুটিয়ে তুলেছেন। এই গভীরতাই শিল্পচেতনা।
চৈতনন্যাত্তর পদকর্তারা চণ্ডীদাসের ভাব কল্পনার সঙ্গে নিজেদের বিশ্বাসকে সহজে মেলাতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর সৃষ্ট পদাবলি কাব্যরীতির এবং ভাবগভীরতার এমন এক অভিনব পথ দেখিয়ে দিল যাতে পরবর্তীকালে পদকর্তাদের একটি শ্রেণি এই আদর্শের অনুবর্তন করতে লাগলেন। তাঁদের পুরোভাগে আছেন বৈয়ব কবিতার অন্যতম প্রধান শিল্পী জ্ঞানদাস । বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে চণ্ডীদাস অবিস্মরণীয় কারন- আপনার সৃষ্টির সমুচ্চ মাহাত্ম্যে এবং পদসাহিত্যে একটি ধারাসৃষ্টির শক্তিতে চণ্ডীদাস বাংলা সাহিত্যের অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব ।