“বিভ্রাল’ প্রবন্ধের পরিকল্পনার অভিনবত্ব ব্যাখ্যা কর। OR বিড়াল প্রবন্ধ অবলম্বে স্বনে বঙ্কিমচন্দ্রের সমাজচেতনার পরিচয় দাও। OR বিড়াল রচনায় বঙ্কিমচন্দ্রের জীবনদৃষ্টির যে পরিচয় পাওয় ওয়া যায় তা ব্যাখ্যা

“বিভ্রান্তি” হলো হৃদয়ভরা ভাবনার, হারানো অবস্থার, অস্থিরতা বা মোহার কারণে একজন ব্যক্তি কিংবা সম্প্রদায়ের চিন্তার অবস্থা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “বিভ্রান্তি” একটি কবিতা, যেটি বিচারের, ধর্মের এবং মানবিক অবস্থার উপর ভিত্তি রেখে তার বিচিত্রতা এবং সুন্দরতা দিয়ে একটি অভিনব কাব্য নির্মাণ করে। কবিতার মাধ্যমে তিনি মানব চিন্তার কঠিনাইতে, মোহার জালে পড়া হৃদয়ের অবস্থার মাধ্যমে একটি মৌলিক যোগাযোগ ব্যক্ত করেন।

“বিভ্রান্তি” প্রবন্ধের পরিকল্পনার অভিনবত্ব নিম্নলিখিত উপায়ে ব্যাখ্যা যায়:

মানব বিচারশীলতা এবং মোহার জাল: “বিভ্রান্তি” একটি আধুনিক বিচারের দৃষ্টিকোণ এবং মানব বুদ্ধির সামান্য সীমার মধ্যে মোহার জালে পড়া একটি চিত্র। মানব বিচারশীলতা এবং অজ্ঞানের সংঘটনে বোঝা যায় যে, হৃদয়ভরা ভাবনা এবং মোহা সমৃদ্ধির জালে পড়তে পারে।

চিন্তার মৌলিকতা এবং চিন্তার অভিব্যক্তি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কবিতায় চিন্তার মৌলিকতা এবং চিন্তার অভিব্যক্তি দিয়ে একটি অদ্ভুত ভাবনা দেন। এখানে “বিভ্রান্তি” হলো একটি মনোচিত্ত অবস্থা, যেটি চিন্তার বিভিন্ন মৌলিক দিকে পৌঁছাতে সাহায্য করে।

সাহিত্যিক সৌন্দর্যের পূর্ণতা: “বিভ্রান্তি” একটি সৌন্দর্যের কাব্য, যেখানে ভাষা, ছন্দ, এবং রঙের প্রয়োগের মাধ্যমে একটি অদ্ভুত চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার শখের দক্ষতা এবং কবিতায় আত্মবিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি অদ্ভুত সৌন্দর্য প্রদর্শন করেন।

মানবকে তার ভূমিকায় ফেরানো: “বিভ্রান্তি” তার পাঠকদের মানবিক বিকাশের দিকে প্রচুর উৎসাহিত করতে হেলার চেষ্টা করে। রবীন্দ্রনাথ তার কবিতার মাধ্যমে মানবকে তার সত্যিকায় ভূমিকা জানাতে চান এবং তার মনোবৃদ্ধির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির একটি মডেল হিসেবে কাজ করেন।

ব্যক্তিগত এবং সামাজিক নীতির আলোচনা: “বিভ্রান্তি” একটি অদ্ভুত উপন্যাস, যেটি ব্যক্তিগত এবং সামাজিক নীতির প্রশ্নগুলির উপর মৌলিকভাবে আলোচনা করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে মানবিক মূল্য, ধর্ম, এবং চিন্তার স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত মৌল্য নিয়ে চিন্তা করেন।

এইভাবে, “বিভ্রান্তি” একটি আধুনিক এবং অভিনব কাব্য, যেটি মানবিক এবং ধর্মিক চিন্তার মাধ্যমে মানবকে তার সত্যিকায় ভূমিকা এবং প্রতিরূপ চিন্তায় ভূষিত করতে প্রয়োজনীয় অবস্থায় পাঠ করে।

দ্রুত কবিতাটির আগে চলতে হলে আমাদের সুইচ করে নেবো “বিভ্রান্তি” কবিতার একটি কড়া প্রস্তুতি এবং এর কোন কোন বিশেষ দৃষ্টিকোণ পর্যবেক্ষণ করতে।

কবিতার প্রস্তুতি:

“বিভ্রান্তি” হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “গীতাঞ্জলি” সংগ্রহের একটি অংশ। এটি তার ১৯১০ সালে রচিত এবং প্রকাশিত হয়েছে। এটি একটি গীতাঞ্জলির অধ্যায় হিসেবে পরিচিত হয়েছে, যার শিরোনাম “অন্ধকার বা প্রকাশ”। এই অধ্যায়ে “বিভ্রান্তি” হলো প্রথম গান।

কবিতার সংরচনা:

বিভ্রান্তি হলো একটি গীতাঞ্জলির শ্রৃংগস্রোত, যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধারাবাহিক বিচারধারা ও ধর্মান্তর উপর ভিত্তি করে। এটি রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত অভিব্যক্তির একটি উদাহরণ, যা তিনি তার ধারাবাহিক কাব্যের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছেন। এই গানে তিনি ব্যক্তিগত আত্মবিশ্লেষণ এবং মানবিক সত্যের অনুভূতি ব্যক্ত করতে চান।

গানের উপকথাঃ

গানে কবি বলছেন, তার হৃদয় অত্যন্ত বিভ্রান্তির জালে আবৃত হয়ে থাকে। মনের অন্ধকারে তার চিন্তাগুলি প্রকাশ পাতে পারে না, এবং তার হৃদয়ে অবস্থান করা মোহলালা তার চোখের সামনে স্বপ্নের মতো আবেগ করতে থাকে। সত্যিকার অজানা পথে প্রবল আবেগের অভিজ্ঞান হলেও, তার মাধ্যমে তিনি নিজেকে আরও ভূমিকা দেওয়ার চেষ্টা করতে চান। তার মধ্যে অত্যন্ত ক্রিয়াশীলতা ও আবেগ আছে, যা তাকে সত্যিকার অবস্থানে আনতে সাহায্য করে।

বিশেষ দৃষ্টিকোণ:

“বিভ্রান্তি” গানটির মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ধারাবাহিক দৃষ্টিকোণের মাধ্যমে মানবিক অসীম অভিজ্ঞান এবং অনুভূতির দিকে দরজা খোলতে চান। তিনি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞান, ব্যক্তিগত আত্মবিশ্লেষণ, এবং মানবিক সত্যের অনুভূতির মাধ্যমে মানব বিচারের প্রশ্নগুলির উপর দৃষ্টি চান। “বিভ্রান্তি” হলো একটি মানবিক চিন্তা এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞানের উচ্চতা উঠানোর একটি অদ্ভুত উদাহরণ।

গীতাঞ্জলি এবং “বিভ্রান্তি” মিলছে:

গীতাঞ্জলি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৃহত্তর কবিতা সংগ্রহ। এটি তার বৃহত্তর কাব্যগ্রন্থের একটি অংশ এবং এটির মাধ্যমে তিনি তার বিভিন্ন ধারাবাহিক চিন্তা ও ধর্মান্তর ব্যক্ত করেছেন। “বিভ্রান্তি” একটি গীতাঞ্জলির অংশ, এবং এটির মাধ্যমে তিনি মানবিক চিন্তা, ধারাবাহিক বিচার, এবং ব্যক্তিগত আত্মবিশ্লেষণের মাধ্যমে মানবিক প্রশ্নের উপর দৃষ্টি চান।

সমাপ্তি:

অভিজ্ঞান এবং আত্মবিশ্লেষণের মাধ্যমে মানব চিন্তা এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞানের মৌলিক অভিজ্ঞানের সাথে, “বিভ্রান্তি” তার একটি আধুনিক কবিতা হিসেবে উত্কৃষ্ট এবং সৃষ্টি করে। এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৌলিক চিন্তা, ধরাবাহিক বিচার, এবং আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্যিকার অনুভূতির একটি অদ্ভুত প্রতিবিম্বন।

Share

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading