বিদ্যাসাগরকে ‘বাংলা গদ্যের প্রথম যথার্থ শিল্পী’ বলা কতদূর সঙ্গত ‘শকুন্তলা’ প্রবন্ধ অবলম্বনে আলোচনা করুন।

“বিদ্যাসাগরকে ‘বাংলা গদ্যের প্রথম যথার্থ শিল্পী’ বলা হয়েছে খোকন মুখোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে, যিনি তার গদ্যকলা এবং প্রবন্ধ রচনার মাধ্যমে বাঙালি ভাষা ও সাহিত্যে উত্তরণ করেন।

শকুন্তলা প্রবন্ধটি তার গদ্যকলার একটি অসাধারণ উদাহরণ, একটি সকলভাবে আকর্ষণীয় ও অমৃতপ্রবাহী কৃষ্ণচরিত্র নিয়ে। বিদ্যাসাগর তার সাহিত্যিক প্রদর্শন করেছেন এবং এই নাটকটির মাধ্যমে বাঙালি জনগণের মাঝে ভারতীয় সাহিত্য ও কল্চর বিষয়ে চর্চা ও উৎসাহন উত্তেজনার জাগৎ সৃষ্টি করেছেন। এটি বাংলা গদ্যকলা ও সাহিত্যে বৃদ্ধির একটি মাধ্যম।

এটি একটি সতীকাহিনী, আদি-পুরুষের ভাবনার উৎপত্তি এবং ভগবদ গীতা ও রামায়ণের মহাকাব্যের মধ্যে প্রিয় একটি প্রেমকাহিনী, প্রেম এবং ভক্তি বিষয়ক গবেষণা করে। এটি বৈষ্ণব ভক্তির অনুষ্ঠান, পুরুষের মহিমা এবং স্ত্রীর প্রেম এবং বিশেষভাবে শকুন্তলা এবং দুষ্যন্ত এই সৃষ্টি হয়েছে তাদের দুর্লভ প্রেমের কথা।

“শকুন্তলা” প্রবন্ধটি বিদ্যাসাগর কে একটি প্রমুখ গদ্যকলা লেখক হিসেবে উল্লেখ করে, এটি তার গদ্যকলা লেখনের শোক এবং ভক্তির মাধ্যমে ভারতীয় সাহিত্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে, এবং এটি ভারতীয় সাহিত্যে একটি মহৎ যোগদান। বিদ্যাসাগর এই প্রবন্ধে আত্মগতি এবং আত্মসমর্পণের মাধ্যমে কিভাবে একটি শিল্পী বিকশিত হয়ে তৃপ্ত হতে পারে তার বিচার করেছেন।

Share

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading