অথবা, “রচনা এবং সমালােচনা এই উভয় কার্যের ভার বঙ্কিম একাকী গ্রহণ করাতেই বঙ্গসাহিত্য এত সত্ত্বর এমন দ্রুত পরিণতি লাভ করিতে সক্ষম হইয়াছিল।”—সংক্ষেপে যে-কোন একটি ধারায় (উপন্যাস অথবা প্রবন্ধ) বঙ্কিম প্রতিভার উন্মেষ ও বিকাশের পরিচয় দাও।
বঙ্গদর্শন এবং প্রচার’—এই দুটি পত্রিকার প্রধান লেখকরূপে বঙ্কিমচন্দ্র বিভিন্ন সময়ে যে সব প্রবন্ধ রচনা করেন তা বিষয়বস্তু এবং ভাষাভঙ্গির বৈচিত্র্যে বিস্ময়কর। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল বিভাগেই তার অবাধ গতি ছিল। প্রতিটি বিষয়ই তিনি গভীরভাবে অনুশীলন করেছেন এবং নিজস্ব চিন্তার বিশিষ্টতায় নিজের মতাে করে সেই বিষয়ের আলােচনা করেছেন।
এইজন্যই তাঁর কোন রচনাকেই নিছক সারসংকলন বা অপরের দ্বারা উদ্ভাবিত বিষয়ের চর্বিতচর্বণ বলে মনে হয় না। প্রতিটি রচনাই তার প্রখর মনীষার আলােকে দীপ্ত। আধুনিক বিজ্ঞান এবং দর্শনের দুরুহতম বিষয় বাঙলা ভাষায় বিচার-বিশ্লেষণ করে মানুষের মনন-চিন্তনের ভাষারূপে বাঙলা গদ্যের সামর্থ্য তিনি অবিসংবাদিতরূপে প্রমাণ করেছেন। তার এই বিচিত্র বিষয় আশ্রিত রচনাগুলি চারটি শ্রেণীতে ভাগ করে দেখা যায়-
(১) জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্পর্কিত প্রবন্ধ,
(২) সাহিত্য-সমালােচনামূলক প্রবন্ধ,
(৩) ধর্ম ও দর্শন-সম্পর্কিত রচনা,
(৪) ব্যঙ্গাত্মক ও হাস্যরসমূলক রচনা।
[1] জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্পর্কিত প্রবন্ধ: জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা প্রসঙ্গ অবলম্বনে রচিত বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধগুলি ‘বিজ্ঞান রহস্য’ (১৮৭৫), ‘বিবিধ প্রবন্ধ’ (দুই খণ্ড ১৮৮৭ ও ১৮৯৩) এবং ‘সাম্য’ (১৮৭৯) এই তিনটি গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। আধুনিক বিশ্বে যথাযােগ্য স্থান করে নিতে হলে ভারতে বিজ্ঞান-সাধনা যে অপরিহার্য বঙ্কিমচন্দ্রের এ বিষয়ে স্থির বিশ্বাস ছিল। বাংলা দেশে মানুষের মনে বিজ্ঞান বিষয়ে কৌতূহল জাগিয়ে তােলবার জন্যে তিনি বঙ্গদর্শনের দ্বিতীয় সংখ্যা থেকে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ রচনা করতে থাকেন। ‘বিজ্ঞান রহস্য’ গ্রন্থ এইসব প্রবন্ধেরই সংকলন।
বঙ্কিমচন্দ্র গ্রন্থের ভূমিকায় লিখেছিলেন, “এই সকল প্রবন্ধ প্রধানতঃ হক্সলী, টিণ্ডল, প্রক্টর, লকিয়র, লায়েল প্রভৃতি লেখকের মতাবলম্বন করিয়া লিখিত হইয়াছে। কোনটিই অনুবাদ নহে।” ‘বিবিধ প্রবন্ধ’ গ্রন্থের বিষয়বস্তু নানা শ্রেণীর। ইতিহাস, সমাজতত্ত্ব, ভাষা, সাহিত্য ও রাজনীতির নানা প্রশ্ন নিয়ে এই গ্রন্থের প্রবন্ধগুলি রচিত। বঙ্গদর্শনের সম্পাদক ও প্রধান লেখকরূপে প্রায় সকল বিষয়েই বঙ্কিমচন্দ্রকে অবিরত লিখতে হত।
“বিবিধ প্রবন্ধের বিপুল প্রবন্ধাবলীতে নিষ্ঠাবান সম্পাদক বঙ্কিমচন্দ্রের প্রতিভার পরিচয় পরিস্ফুট হয়ে আছে। দেশের মানুষের আগ্রহ ও কৌতূহল আধুনিক মানববিদ্যার সকল দিকে সঞ্চারিত করে দেওয়ার আগ্রহ থেকেই এই গ্রন্থাবলীর সৃষ্টি।” ‘সাম্য’ সমাজতত্ত্ব বিষয়ে বঙ্কিমচন্দ্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ রচনা।
[2] সাহিত্য-সমালােচনামূলক প্রবন্ধ: রবীন্দ্রনাথের কথায়, “রচনা ও সমালােচনা এই উভয় কার্যের ভার বঙ্কিম একাকী গ্রহণ করাতেই বঙ্গসাহিত্য এত সত্বর এমন দ্রুত পরিণতি লাভ করিতে সক্ষম হইয়াছিল।” নিজের রচনার দ্বারা বঙ্কিম সাহিত্যক্ষেত্রে একটি উচ্চ আদর্শ স্থাপন করেছিলেন। সেই আদর্শ যাতে অন্যান্য লেখকদের রচনায়ও অক্ষুন্ন থাকে সেইজন্যেই তাকে সাহিত্য সমালােচকের কাজ করতে হত।
প্রধানতঃ বঙ্গদর্শন পত্রিকার পুস্তক পরিচয় অংশটিতেই তিনি সাময়িক সাহিত্যের সমালােচনা করতেন। তার সমালােচনামূলক রচনার মধ্যে এক অংশ দেশীয় এবং বিদেশীয় চিরায়ত সাহিত্য-সম্পর্কিত আলােচনা। এই শ্রেণীর প্রবন্ধের মধ্যে উত্তর-চরিত’, ‘বিদ্যাপতি ও জয়দেব’, ‘শকুন্তলা’, ‘মিরন্দা ও দেসদিমােনা’ প্রভৃতি উল্লেখযােগ্য। সমসাময়িক সাহিত্য-সম্পর্কিত রচনার মধ্যে দীনবন্ধু, ঈশ্বর গুপ্ত, প্যারীচাঁদ মিত্র ও সঞ্জীবচন্দ্রের জীবন ও রচনার সমালােচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্যতত্ত্ব বিষয়ে গভীর আলােচনাও বঙ্কিমচন্দ্রই শুরু করেন। তার প্রতিটি রচনার মধ্যে সাহিত্য বিচারের একটা নির্দিষ্ট নীতির পরিচয় পাওয়া যায়। কোন কোন রচনার মূল্য বিচারে তিনি চিরায়ত বা ক্লাসিক্যাল সাহিত্যের মানদণ্ড ব্যবহার করেছেন।
[3] ধর্ম ও দর্শন-সম্পর্কিত রচনা: বঙ্কিমচন্দ্রের ধর্ম ও দর্শন চিন্তার পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পাওয়া যায় ‘কৃষ্ণচরিত্র’ (১৮৯২) এবং ‘ধর্মতত্ত্ব’ (১৮৮৮) গ্রন্থে। প্রথম জীবনে বঙ্কিমচন্দ্র পাশ্চাত্ত্য দর্শনের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং বিশেষভাবে দার্শনিক জেরেমি বেন্থাম ও আগস্ট কোতের মতবাদের দ্বারা প্রভাবিত হন। পরিণত বয়সে তিনি যখন হিন্দু দর্শন-সম্পর্কে গভীর অনুশীলনে প্রবৃত্ত হন তখনও অনেক পরিমাণে বেন্থাম ও কোতের প্রভাবেই তার চিন্তা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।
মানুষের সর্ববিধ গুণের সামঞ্জস্যপূর্ণ মনুষ্যত্বের উপলব্ধিই ধর্ম সাধনার লক্ষ্যবঙ্কিমচন্দ্র এরূপ বিশ্বাস পােষণ করতেন। কৃষ্ণচরিত্র’ গ্রন্থে তিনি কৃষ্ণকে পূর্ণ মনুষ্যত্বের প্রতীক চরিত্ররূপে নতুনভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। অন্ধ বিশ্বাসের পরিবর্তে স্বাধীন যুক্তির দ্বারা তিনি কৃষ্ণচরিত্রের অলৌকিক অংশ পরিবর্জন করে চরিত্রটিকে আপন আদর্শের প্রতিভূরূপে মহত্তর মানুষরূপে চিহ্নিত করেছেন। ‘ধর্মতত্ত্ব’ গ্রন্থের প্রতিপাদ্য-মানুষের শক্তি বা বৃত্তিগুলির অনুশীলন, স্ফুরণ ও চরিতার্থতায় মনুষ্যত্বলাভ সম্ভব হয়। এই মনুষ্যত্বই মানুষের ধর্ম।
[4] ব্যঙ্গাত্মক ও হাস্যরসমূলক রচনা: পত্রিকা সম্পাদন করতে হলে সকল শ্রেণীর পাঠকের রসরুচির তৃপ্তিসাধনের দিকে নজর রাখতে হয়। শুধু তত্ত্বমূলক আলােচনা দ্বারা কোন পত্রিকা যে সকল শ্রেণীর পাঠকের প্রিয় হতে পারে না—তা বঙ্কিমচন্দ্র ভালােভাবেই জানতেন। এজন্য বঙ্গদর্শনের প্রতি সংখ্যায় লঘু উপভােগ্য রচনা প্রকাশ করা হত। এই রচনাগুলিই ‘লােকরহস্য’ (১৮৭৪), ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ (১৮৭৫) এবং ‘মুচিরাম গুড়ের জীবন চরিত’ (১৮৮৪)-এই তিনটি গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। হয়তাে বা নিছক পাঠকদের চিত্ত বিনােদনের জন্যই বঙ্কিমচন্দ্র এই ধরনের হাস্যরসাত্মক রচনা শুরু করেছিলেন, কিন্তু এইক্ষেত্রেও তার প্রতিভার এক নতুন শক্তি বিকশিত হয়ে উঠেছে।
হাস্যরস বাঙলা সাহিত্যে চিরকাল অপাংক্তেয় ছিল। অশ্লীলতা এবং ভাড়ামি ভিন্ন যে হাসির উদ্রেক করা যেতে পারে তা প্রাচীন বাঙলার কোন লেখক কল্পনাও করতে পারেন নি। বঙ্কিমচন্দ্র হাস্যরসকে অশ্লীলতার কলুষমুক্ত করেছেন। যথার্থ হাস্যরস সৃষ্টির জন্যেও উচ্চাঙ্গের কল্পনাশক্তি প্রয়ােজন।
মানব-স্বভাবের নানাবিধ অসঙ্গতি এবং মানব জীবনের নানা অবস্থা বিপর্যয়ের মধ্যেই প্রকৃত হাস্যরস নিহিত থাকে। হাস্যজনক পরিস্থিতির মধ্যেও তাই জীবন-সত্য এবং জীবন সাধনার গূঢ় রহস্য উন্মােচিত করে দেখানাে যায়। বঙ্কিমচন্দ্রই বাঙলা সাহিত্যে এই উচ্চমানের হাস্যরসাত্মক রচনা প্রবর্তন করেন। ‘লােকরহস্য’র খণ্ড রচনায় এবং মুচিরাম গুড়ের জীবন চরিতে’ আধুনিক বাঙালী জীবনের নানা অসঙ্গতি হাস্যকরুণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এই শ্রেণীর রচনার মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং আজ পর্যন্ত বাঙলা সাহিত্যে অদ্বিতীয় গ্রন্থ ‘কমলাকান্তের দপ্তর’।
নেশাখাের অর্ধ-উন্মাদ কমলাকান্তের ছদ্মনামে বঙ্কিমচন্দ্র যে অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছে তা আপাতহাস্যকর হলেও এই রচনাগুলির মূলে আছে বঙ্কিমচন্দ্রের জীবনব্যাপী গভীর দার্শনিক চিন্তার ফল। বঙ্কিমের দেশপ্রেম, জাতিপ্রেম, ঐতিহ্যপ্রীতি, ধর্ম ও নীতিবােধ-তাঁর জীবন-জিজ্ঞাসার নানাদিক এই গ্রন্থে কমলাকান্তের বিসদৃশ চরিত্রের হাস্যকর আচার-আচরণ এবং উদ্ভট ভাবভঙ্গিতে অতি বিচিত্রভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
বঙ্কিমচন্দ্রের আবির্ভাবের পূর্বে গদ্যভাষায় যা রচিত হয়েছে তার পরিমাণ নিতান্ত অল্প নয়; লেখকের সংখ্যাও কম নয়, অর্ধ শতাব্দীরও বেশী সময়ব্যাপী এই অনুশীলনে গদ্যভাষার একটা বনিয়াদ নিশ্চয়ই প্রস্তুত হয়ে উঠেছিল। একদিকে রামমােহন-অক্ষয়কুমারের রচনায় জ্ঞানচর্চার ভাষা হিশেবে বাঙলা গদ্যের একটা রূপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, অপরদিকে বর্ণনাত্মক গদ্যের আদর্শ রূপ বিদ্যাসাগরে একটা পরিণতি লাভ করেছে। এর সঙ্গে ভবানীচরণ-প্যারীচাঁদ-কালীপ্রসন্নের হাতে কথ্য-ভাষারীতি ব্যবহারেরও একটা পরীক্ষা চলে এসেছে। এই পটভূমিতে বঙ্কিমচন্দ্রের আবির্ভাব।
অতএব একথা স্বীকার করতেই হবে যে, বঙ্কিমচন্দ্র নিতান্ত অপ্রস্তুত ভূমিতে পদার্পণ করেন নি। তার পরেই বহু পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে। এইসব পত্র-পত্রিকায় মনীষী লেখকবৃন্দ প্রবন্ধাদি রচনা করে একটা সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করে তুলেছে। এই পরিবেশের মধ্যে আবির্ভূত হওয়ায় নিশ্চয়ই বঙ্কিমচন্দ্রের পক্ষে কাজ শুরু করা সহজ হয়েছিল। বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের যে নতুন অধ্যায় রামমােহন থেকে সূচিত হয়েছিল বঙ্কিমচন্দ্র আপন মৌলিক প্রতিভার শক্তি দ্বারা তা সুসম্পূর্ণ করে তুললেন। তিনি নতুন করে কিছু শুরু করেন নি, যা ইতিপূর্বে শুরু হয়েছিল তাই তাঁর প্রতিভার স্পর্শে পরিপূর্ণতা লাভ করল। বঙ্কিমচন্দ্রের গদ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়,তিনি মূলত বিদ্যাসাগরের রচনারীতির ওপরে নির্ভর করে ক্রমে একটা নিজস্ব শৈলী উদ্ভাবন করেছেন।
বঙ্কিমচন্দ্রের হাতে বিদ্যাসাগরের বর্ণনাত্মক গদ্য বাঙলা কথ্যভাষায় তীক্ষ্ণতা ও ঔজ্জ্বল্যের সামঞ্জস্যে মিলিত হয়েছে। বাক্যের অন্তর্গত পদসমূহের অন্বয়ে তিনি প্রাঞ্জলতা এনেছেন। বাক্যগুলিও যথাসম্ভব ছােট এবং গতিশীল। অসমাপিকা ক্রিয়া যথাসম্ভব পরিহার করেছেন। মাঝে মাঝে প্রশ্নাত্মক বাক্য ব্যবহারের দ্বারা পাঠকের মননক্রিয়া সজাগ রাখা বঙ্কিমের রচনার একটা প্রধান বৈশিষ্ট্য। কখনাে-বা তিনি পাঠককে সম্বােধন করে নিবিড়তর ভঙ্গিতে কথা বলেন। বর্ণনায় নৈর্ব্যক্তিকতার পরিবর্তে ব্যক্তিত্বের স্পর্শ তার রচনার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। এইসব গুণের জন্যই তার হাতে বাঙলা গদ্যের ভারবহন ক্ষমতা এবং স্পর্শবােধ বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাষার অসাড়তা ঘুচে গিয়ে সচল প্রাণাবেগ দেখা দিয়েছে। এই গদ্য মানুষের সুক্ষ্ম ও গভীরতম অনুভূতি, প্রবল হৃদয়াবেগ বা শাণিত বুদ্ধির গতিবিধি অনায়াসে অনুসরণ করতে সক্ষম।
যথার্থ মৌলিক সৃষ্টিশীল প্রতিভার স্পর্শ ভিন্ন কোন ভাষা যথার্থ পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে না। বাঙলা গদ্যভাষা প্রথম সৃজনশীল প্রতিভার স্পর্শ লাভ করে বন্ধিমচন্দ্রে। তার হাতে বাঙলা গদ্যসাহিত্য যে ঐশ্বর্যসমৃদ্ধ পূর্ণতা লাভ করে শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় যথার্থভাবেই নির্দেশ করেছেন- “ইহার সুল প্রয়ােজনাত্মক উচ্চারণ-থতার মধ্যে শ্লেষ ব্যঙ্গ-তির্যক ভাষণের তীক্ষ্মতা, পরিহাস-রসিকতার চমক, আবেগময় ভাবমুগ্ধতা, গীতিকবিতার সুর উচ্ছ্বাস, জীবন-পর্যালােচনার অন্তরঙ্গ অন্তর্মুখিতা, ক্ষোভ-অনুযােগ-আশা-নৈরাশ্যের সম্মিলিত ঐকতান মানবকণ্ঠের সমগ্র সুর-গ্রাম, অনুভূতির সর্বসঞ্চারী ভাবসমষ্টি আপনাদের যথাযথ বাক্-ছন্দটি খুঁজিয়া পাইয়াছে।”