অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সমাজস্থ ব্যক্তিবর্গের পার্থিব প্রয়োজন মেটানোর লক্ষ্যে উদ্ভূত কার্যপ্রণালীই অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান। মূলত খাবার সংগ্রহ ও অন্যান্য চাহিদা পূরণের জন্য সামগ্রী তৈরি করে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান। খাদ্য সংগ্রহ, পশুপালন, কৃষিকাজ, শিল্পকর্ম প্রভৃতি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ।
• রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান: সুষ্ঠু প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা সংরক্ষণ প্রভৃতি প্রয়োজনে রাষ্ট্রের উদ্ভব। রাষ্ট্র বিভিন্নভাবে এগুলি বজায় রাখে। সরকার, আইন, দলীয় ব্যবস্থা, নির্বাচন এগুলি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ।
• ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: ধর্ম হলো মানুষের অলৌকিক শক্তিতে আস্থা ও তাকে খুশি করে কৃপালাভের জন্য বিভিন্ন ক্রিয়াকর্ম। এই বিশ্বাস ও অনুভূতির বিষয়টি ধর্মের নিজস্ব। অন্যদিকে, নানাবিধ ক্রিয়াকর্ম যেমন-শাস্ত্রপাঠ, পূজা-অর্চনা, হোম, যজ্ঞ এগুলি ধর্মের বাহ্যিক দিক। ধর্মের বাহ্যিক বিষয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বলে পরিচিত।
• শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান: শিক্ষা মানুষের মধ্যে ব্যক্তিত্বকে জাগ্রত করে। স্কুল- কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম, পড়াশোনার পদ্ধতি, নিয়মকানুন, পরীক্ষা-গ্রহণ, ফলপ্রকাশ এগুলি হলো শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান।
• সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান: চিত্রকলা, সংগীত, ভাস্কর্য এগুলি হলো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। এগুলি মানুষের মানসিক চাহিদা পুরণ করে। সংস্কৃতির অপার্থিব দিকগুলি এর দ্বারাই ফুটে ওঠে। এর মাধ্যমে মানুষের ভাবাবেগ, অনুভূতি ও সৃজনী প্রবৃত্তির প্রকাশ ঘটে।
• শিল্প সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান: খাদ্য ছাড়াও মানুষের বিভিন্ন পার্থিব বস্তুর প্রয়োজন আছে। তার জন্য গড়ে ওঠে শিল্প সংস্থাগুলি। এই সমস্ত সংস্থার উৎপাদন, বণ্টন, বিপণন, যন্ত্র পরিচালন ইত্যাদি শিল্প সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ। • পারিবারিক প্রতিষ্ঠান: আমাদের জীবনে পরিবার বিভিন্ন প্রকার দায়দায়িত্ব পালন করে। পরিবারে বিবাহ, সন্তান প্রতিপালন, উত্তরাধিকার নির্ণয় ইত্যাদি পারিবারিক প্রতিষ্ঠান থাকে।