‘দেবী’ গল্পের মূল চরিত্রের পরিণতির জন্য কোন কোন ঘটনা দায়ী=
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের ‘দেবী’ গল্পের মূল চরিত্রের পরিণতির জন্য কয়েকটি প্রধান ঘটনা দায়ী। এই ঘটনাগুলো মূল চরিত্রের জীবনে প্রভাব ফেলেছিল এবং তার পরিণতি নির্ধারণ করেছিল:
মা দুর্গার স্বপ্ন:
মূল চরিত্র হরিশচন্দ্রের স্ত্রী ভুবনেশ্বরী স্বপ্নে দেখেন মা দুর্গা তাকে তার কন্যা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এই স্বপ্নটি ভুবনেশ্বরী এবং হরিশচন্দ্রের মনে একটা অলৌকিক বিশ্বাস সৃষ্টি করে এবং তাদের মেয়ে সরোজিনীকে দেবী দুর্গার অবতার মনে করতে শুরু করে।
গ্রামবাসীর প্রভাব:
গ্রামবাসীরা সরোজিনীকে দেবী হিসেবে পূজা করতে শুরু করে এবং তার অলৌকিক ক্ষমতা থাকার দাবি করে। এই বিশ্বাস হরিশচন্দ্র এবং তার পরিবারকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং তাদের পারিবারিক জীবনে বিশৃঙ্খলা আনে।
হরিশচন্দ্রের সংশয়:
হরিশচন্দ্র প্রথমে সরোজিনীকে দেবী হিসেবে মানতে না চাইলে, তার পরিবার এবং সমাজের চাপের কারণে সে ধীরে ধীরে নিজের বিশ্বাস থেকে সরে আসে। এর ফলে, তার মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব এবং মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়।
সরোজিনীর অসুস্থতা:
শেষ পর্যন্ত সরোজিনী অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসার জন্য দারুন প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও, পরিবার এবং গ্রামবাসীরা তাকে দেবী হিসেবে পূজা করতে থাকে এবং চিকিৎসা প্রয়োজনীয়তাকে অবহেলা করে। এই অবহেলা সরোজিনীর মৃত্যুর কারণ হয়।
এই ঘটনাগুলো হরিশচন্দ্র এবং তার পরিবারের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে এবং তাদের পরিণতি নির্ধারণ করে। গল্পে ধর্মীয় বিশ্বাস এবং অন্ধবিশ্বাসের উপর কেন্দ্র করে একটি সামাজিক সমালোচনা ফুটে উঠেছে।