‘দুঃশাসনীয়’ গল্পে চোরাকারবারের যে পরিচয়
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দুঃশাসনীয়’ গল্পে চোরাকারবারের বিষয়টি অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এই গল্পে চোরাকারবারের মাধ্যমে সমাজের অনৈতিকতা, দুর্নীতি, এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
গল্পে দেখা যায় যে, চোরাকারবারীরা মূলত প্রশাসনের দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু ব্যক্তির সঙ্গে মিলে গোপনে নিজেদের কাজ চালিয়ে যায়। এদের কাজের ধরন খুবই সুপরিকল্পিত এবং সমাজে তারা নিজেদের একটি নির্দিষ্ট প্রভাব বিস্তার করে চলে। প্রশাসন এবং সমাজের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা তাদের মুনাফার জন্য এই চোরাকারবারীদের সাথে যোগসাজশ করে। ফলে সমাজের সাধারণ মানুষ এবং নিরীহ লোকেরা এই চোরাকারবারীদের কাজের শিকার হয়, অথচ তারা এর বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারে না।
গল্পকার চোরাকারবারীদের বর্ণনা দিয়ে সমাজের সেই অন্ধকার দিকটি তুলে ধরেছেন যেখানে ন্যায়বিচারের অভাব এবং অর্থলোভ সমাজের মূল ভিত্তিকে ধ্বংস করে দেয়। এই চোরাকারবারের মাধ্যমে সমাজের নৈতিক অবক্ষয়, শোষণ, এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকে গল্পকার শক্তিশালী ভাষায় প্রকাশ করেছেন।