“জীবনস্মৃতি” হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কবিতা, যা তার কাব্যগ্রন্থ “গীতাঞ্জলি” থেকে অন্তর্ভুক্ত। এই কবিতার মাধ্যমে তিনি ভৃত্যরাজতন্ত্রের প্রতি তার আত্মসমর্পণ ও অভিমুক্তির ভাবনা প্রকাশ করেছেন।
ভৃত্যরাজতন্ত্র:
ভৃত্যরাজতন্ত্র হলো এমন একটি শাসনাধীনতা যেখানে একজন ব্যক্তি অথবা একটি শাসক অপরজনকে অধীনে রাখে এবং সেই অধীনে রয়েছো ব্যক্তি বা জনগণ ভৃত্য বা নিজেদের স্বজনের মত মনে করে।
এই প্রণালীতে অধীনস্থ বা ভৃত্য জনগণ সাধারণভাবে শাসকের অধীনে থাকে এবং তার উপর নির্ভর করে।
ভৃত্যরাজতন্ত্রে শাসক সাধারণভাবে নির্মম, সত্রুবাদী এবং জনগণকে নিজের স্বার্থের জন্য ব্যবহার করে।
“জীবনস্মৃতি” কবিতা:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “জীবনস্মৃতি” কবিতায় তিনি তার আত্মসমর্পণ ও অভিমুক্তির ভাবনা প্রকাশ করেছেন।
কবিতার মাধ্যমে তিনি তার অপরাধ ও আত্মশোকের সাথে অবস্থান করে এবং মহাকাব্য বা দৈত্যরাজের সাথে একটি আত্মত্যাগের চিত্র চিত্রিত করেন।
কবিতার শেষে তিনি ভৃত্যরাজের অধীন রয়েছেন, তবে তার মাধ্যমে তিনি নিজেকে অভিন্নতা এবং স্বাধীনতার সাথে জোড়া দেখায়।
কবিতার মৌলিক ধারাবাহিকতা:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কবিতায় মৌলিক ধারাবাহিকতা এবং স্বাধীনতার উচ্চ আদর্শ নিয়েছেন।
তার কবিতায় মানব স্বাধীনতা এবং অধীনতা নিয়ে সচেতনতা প্রকাশ পাওয়া যায়, এবং তিনি ভৃত্যরাজতন্ত্রের প্রতি আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করা মৌলিক উদাহরণ দেখানো হয়েছে।