Ans- রামরাম বসু (১৭৫৭-১৮১৩) বাংলা গদ্যের প্রথম দিকের লেখক। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো:
- রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত
- বেদান্তচন্দ্রিকা
- লিপিমালা
- কৃষ্ণকুমারী নাটক (অনুবাদ)
(খ) মধুসূদন দত্ত লিখিত মহাকাব্যটির নাম কী? এটি ক’টি সর্গে বিভক্ত? প্রথম ও শেষ সর্গের নাম উল্লেখ করো
Ans- মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্যের নাম “মেঘনাদবধ কাব্য“। এটি মোট ৯টি সর্গে বিভক্ত। প্রথম সর্গের নাম “রাবণের রাজসভা“ এবং শেষ সর্গের নাম “নির্বাসিত লক্ষ্মণ“। এই মহাকাব্যে মধুসূদন রাবণের প্রতি সহানুভূতির দৃষ্টিতে রামায়ণের কাহিনি নতুনভাবে উপস্থাপন করেছেন।
(গ) গিরিশচন্দ্র ঘোষ কোন্ শ্রেণীর নাটক রচনা করে বিখ্যাত হয়েছেন? সেই শ্রেণীর যে-কোনো তিনটি নাটকের নাম লেখো।
Ans- গিরিশচন্দ্র ঘোষ সামাজিক ও পৌরাণিক নাটক রচনা করে বিখ্যাত হয়েছেন। তাঁর পৌরাণিক নাটকগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই শ্রেণীর তিনটি নাটক হলো:
- দক্ষযজ্ঞ
- পাণ্ডব গীতাভিনয়
- চৈতন্যলীলার চরিত
এছাড়া, তিনি ঐতিহাসিক ও সামাজিক বিষয়েও নাটক রচনা করেছেন।
(ঘ) ‘রাজসিংহ’, ‘গোরা’ এবং ‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’ কাদের রচিত এবং উপন্যাসগুলির প্রকাশকাল লেখো।
- Ans- রাজসিংহ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; প্রকাশকাল: ১৮৮১।
- গোরা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; প্রকাশকাল: ১৯১০।
- হাঁসুলী বাঁকের উপকথা: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়; প্রকাশকাল: ১৯৪৭।
এই উপন্যাসগুলো বাংলা সাহিত্যের ঐতিহাসিক, সামাজিক ও গ্রামীণ জীবনচর্চার গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।
(ঙ) উদাহরণসহ স্বরভক্তির সংজ্ঞা দাও।
Ans- স্বরভক্তি হলো দুটি স্বরধ্বনির মধ্যবর্তী অবস্থানে একটি অতিরিক্ত স্বরধ্বনি সৃষ্টির প্রক্রিয়া। এটি মূলত উচ্চারণের সুবিধার্থে ঘটে। স্বরভক্তি বাংলা ভাষার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
উদাহরণ:
- অমৃত → অমোরিত
- চন্দ্র → চনন্দ্রো
এক্ষেত্রে “অমৃত” শব্দে “ম” এবং “র” এর মধ্যবর্তী স্থানে একটি স্বরধ্বনি (“অ”) সংযোজিত হয়, যা উচ্চারণকে সহজ করে। স্বরভক্তি সাধারণত গ্রামীণ ভাষায় বেশি দেখা যায় এবং এটি বাংলার শব্দরূপ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(চ) টীকা লেখোঃ সংকর শব্দ।
Ans- সংকরশব্দ হলো দুটি ভিন্ন ভাষার শব্দ বা ধ্বনির সংমিশ্রণে গঠিত শব্দ। এটি মূলত বিভিন্ন ভাষার মিথস্ক্রিয়া ও ধারাবাহিক ব্যবহারের ফলে সৃষ্টি হয়। বাংলা ভাষায় অন্যান্য ভাষার প্রভাব যেমন সংস্কৃত, ফার্সি, আরবি, উর্দু এবং ইংরেজি থেকে অনেক সংকর শব্দ গঠিত হয়েছে।
উদাহরণ:
- হাইকোর্ট (ইংরেজি High + ফার্সি Court)।
- রেজিস্ট্রি অফিস (ইংরেজি Registry + বাংলা অফিস)।
সংকর শব্দ ভাষার সহজাত পরিবর্তন ও সমৃদ্ধির নিদর্শন। এগুলো ভাষার দৈনন্দিন ব্যবহারকে সহজ এবং প্রাসঙ্গিক করে তোলে।