রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘এষা’ কাব্যের ‘অশৌচ’ পর্বের ১২-সংখ্যক কবিতা গভীর দার্শনিক ভাবনা এবং আবেগের মিশ্রণে রচিত। এই কবিতায় মানবজীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব এবং শোকের মধ্য দিয়ে অমরত্বের সন্ধানের প্রতিফলন দেখা যায়।
ভাববস্তু
কবিতায় মূলত মানবজীবনের চিরন্তন সত্য—জন্ম, মৃত্যু, এবং তার মধ্যবর্তী সময়ের শূন্যতা—নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে কবি মৃত্যুকে জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখেছেন, যা ব্যক্তিকে আত্ম উপলব্ধি এবং চেতনার দিকে ধাবিত করে। শোকের মধ্য দিয়ে আত্মার মুক্তি এবং নতুন পথচলার অনুপ্রেরণা পাওয়ার বিষয়টি কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে।
কবিতায় “অশৌচ” শব্দটি শোক ও আত্মার শুদ্ধিকরণের প্রতীক। কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে জীবনের বিপন্নতা এবং বিচ্ছেদ শোকের কারণ হলেও এটি একধরনের শুদ্ধির মাধ্যম। শোক জীবনের গভীরতাকে অনুভব করতে সাহায্য করে এবং অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগিয়ে তোলে।
উপসংহার
এই কবিতায় রবীন্দ্রনাথ গভীর অনুভূতির সঙ্গে জীবনের চক্র, মৃত্যুর অবশ্যম্ভাবিতা, এবং শোককে আত্মার জাগরণ ও চেতনালাভের উপায় হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।