সমীভবন (Homophony): সংজ্ঞা: সমীভবন হলো এমন একটি ধ্বনি বা বর্ণ, যা একটি ভাষার বা শব্দের অনেক বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়, তবে তাদের উচ্চারণ একই থাকে। এটি একটি শব্দের বোঝার সময় অস্তিত্ব দেয়, কিন্তু ইন্ধন দিয়া বা ইন্ধন না দিয়া তা বোঝা যায় না।
উদাহরণ: বাংলা ভাষায় “কুল” শব্দটি একটি সমীভবন শব্দ, যা “পরিবার” অথবা “ঠাকুর” দুটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে।
স্বরসংগতি (Alliteration):সংজ্ঞা:
এটি হলো এমন একটি বাক্য বা শব্দের সাজ, যেখানে একই বা একই ধ্বনি বা বর্ণের শব্দগুলি এক সাথে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: “শীতে শীতল বায়ু” বা “আকাশে আলো” হলো স্বরসংগতির উদাহরণ।
বিপর্যাস (Irony):
সংজ্ঞা: এটি হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে একটি ঘটনার অর্থ বা অর্থান্তরে প্রতিক্রিয়ার মধ্যে একটি বিরোধ হয়।
উদাহরণ: “শোক মুক্ত ক্ষণে হাসি” হলো বিপর্যাসের একটি উদাহরণ, যেখানে শোক এবং হাসি একই ক্ষণে ব্যক্তির মুখে আসতে পারে।
স্বরলোপ (Eclipse):
সংজ্ঞা: এটি হলো এমন একটি ধ্বনি বা বর্ণ, যা একটি শব্দে বা বাক্যে একটি বা একাধিক ধ্বনি বা বর্ণের দ্বারা ঢাকা হয়।
উদাহরণ: “আমি” শব্দের একটি স্বরলোপ উদাহরণ, কারণ এটি “মি” শব্দে স্বরলোপিত হয়েছে।
বিষমীভবন (Antithesis):
সংজ্ঞা: এটি হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে দুটি বা ততোধিক বস্তু, বৈশিষ্ট্য বা ধারার মধ্যে একটি বা একাধিক বিপরীত বৈশিষ্ট্য বা ধারা আছে।
উদাহরণ: “জীবনে বিজয়ী হও, বা পরাজয়ী” হলো বিষমীভবনের একটি উদাহরণ, যেখানে “বিজয়ী” এবং “পরাজয়ী” দুটি বিপরীত অর্থের শব্দ আছে।
স্বরলোপ (Aphaeresis):
সংজ্ঞা: এটি হলো এমন একটি লিঙ্গ যেখানে একটি শব্দ বা ধ্বনি অপরটির আগে বা পূর্বে চলে যায়।
উদাহরণ: “মামা” শব্দটি একটি স্বরলোপ, কারণ “মামা” শব্দটির আগে “মাম” ছিল।