মাধ্যম অনুমান:
যে অনুমানে দুটি বচন থেকে সিদ্ধান্ত করা হয় তাকে মাধ্যম অনুমান বলে।
যথা – সকল ফুল হয় সুগন্ধি। (A)
গোলাপ হয় ফুল। (A)
∴ গোলাপ হয় সুগন্ধি। (A)
অমাধ্যম অনুমান:
যে অনুমানে একটি বচন থেকে সরাসরি সিদ্ধান্ত করা হয় তাকে অমাধ্যম অনুমান বলে।
যথা – ১. কোনো কোনো ফুল হয় সাদা। (I)
সিদ্ধান্তঃ কোনো কোনো সাদা হয় ফুল। (I-I)
২. সকল মানুষ হয় মরনশীল। (A)
সিদ্ধান্তঃ কোনো মানুষ নয় অমরনশীল। (A-E)
মাধ্যম ও অমাধ্যম অনুমানের পার্থক্যঃ
অমাধ্যম ও মাধ্যম অনুমানের প্রধান পার্থক্যগুলি হল –
প্রথমত, অমাধ্যম অনুমানে একটি আশ্রয়বাক্য ও একটি সিদ্ধান্ত থাকে কিন্তু, মাধ্যম অনুমানে একাধিক আশ্রয়বাক্য ও একটি সিদ্ধান্ত থাকে।
দ্বিতীয়ত, অমাধ্যম অনুমানে আশ্রয়বাক্যতে দুটি পদ থাকে আর মাধ্যম অনুমানের আশ্রয়বাক্যে অন্তত তিনটি পদ থাকে।
তৃতীয়ত, অমাধ্যম অনুমানের সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ সময় বাস্তবিক ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়, তবে মাধ্যম অনুমানের সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ সময় বাস্তবিক ক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য হয়।
চতুর্থত, অমাধ্যম অনুমান প্রধানত দুই প্রকার, যথা – অবর্তন ও বিবর্তন; কিন্তু মাধ্যম অনুমান বলতে শুধুমাত্র ন্যায় অনুমানকেই বোঝায়।
আমরা সকলেই জানি, সাধারনভাবে O বচনে অবর্তন সম্ভব নয়। যদি O বচনে অবর্তন করা হয় তবে এরূপ হয় –
কোনো কোনো S নয় P। (O)
অবর্তনঃ কোনো কোনো P নয় S। (O-O)
এখানে আবর্তনের চতুর্থ সূত্রকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। অবর্তনের সূত্রানুযায়ী যে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য তাকে অবশ্যই আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হতে হবে। কিন্তু এখানে সিদ্ধানে S পদটি ব্যাপ্য হলেও আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি। কাজেই O বচনে আবর্তন সম্ভব নয়।
তবে আধুনিক যুক্তি বিজ্ঞানীরা একভাবে O বচনের আবর্তন করেছেন। একে বলা হয় নিষেধমূলক আবর্তন।
যথা –
কোনো কোনো আম নয় মিষ্টি।(O)
বিবর্তনঃ কোনো কোনো আম হয় অমিষ্টি। (O-I)
আবর্তনঃ কোনো কোনো অমিষ্টি হয় আম। (O)