‘আমার দুখিনী বর্ণমালা’ কবিতাটি বাংলাদেশের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে লেখা। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ১৯০৫ সালে ব্রিটিশ সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাংলার জনগণের প্রতিবাদস্বরূপ শুরু হয়েছিল। এই আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আঘাতের প্রতিক্রিয়া ফুটে ওঠে।
কবি বর্ণমালাকে ‘দুখিনী’ বলেছেন কারণ এই বর্ণমালার মাধ্যমে বাংলার সংস্কৃতি, ইতিহাস, এবং ঐতিহ্যের প্রকাশ ঘটে, যা রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন আঘাতের শিকার হয়েছে। বঙ্গভঙ্গের ফলে বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতিকে বিভক্ত করার যে চেষ্টা হয়েছিল, সেই দুঃখ ও কষ্টের প্রতিফলন কবির ভাষায় বর্ণমালাকে দুখিনী বা দুঃখী হিসেবে চিত্রিত করেছে।