আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রকৃতি ও বিষয়বস্তু?

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রকৃতি:

আমরা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রকৃতি এবং বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করছি। আদ্রপ্রতিক সম্পর্ক একটা স্বতন্ত্র নিবর রূপে খুব অল্পকাল হল দেখা দিয়েছে। বিছুদিন পূর্বেও আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে ইতিহাস এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শাখারূপে গণ্য করা হত। কিন্তু পরবর্তীকানে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনিতি, আইন, সমাজবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান, মনস্তত্ত্ব, সামামিক মনস্তত্ত্ব সমস্ত বিষয়ই কোনও না কোন ভাবে এর সঙ্গে সান্নিষ্ট হয়ে আছে। এছাড়া বর্তমান পভাগীতে ব্যাপক বিজ্ঞান ও কারিগরি বিনার উন্নতির ফলে এক দেশের সঙ্গে আর এক দেশের সম্পর্ক খুবই কাছাকাছি হয়েছে, যাতায়াত ব্যবস্থা হয়েছে খুবই সহজ এবং সুগন, এ দেশের জনগণের আচরণ অন্য দেশের জনগণের আচরণের উপর প্রদ্দাব বিস্তার করছে। এই বিজ্ঞান এবং কারিগরি বিদ্যার উন্নতির ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সমাজ সম্পর্কই আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে।

বরাষ্ট্রবিজ্ঞান একটা গতিশীল বিষয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বলতে অণুমার কূটনীতির ইতিয়ানই বোকার। কূটনীতিবিদরা পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করতেন এবং আন্তজাতিক সম্পর্ক সাদারণত এদের দ্বারলি চারটি ঠিক করা হয়। এই সময় যেহেতু “রাইমান ঘটনাবলীর উপর কোন ঘোর সেওনা ম্যানি, এজন্যই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কোন তত্ত্ব গড়ে ওঠেনি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তরিক সম্পর্ক আর কূটনীতিবিদদের কার্যাবলীর মধ্যে সীমিত না থেকে “বহমান আন্তজাতিক ঘটনাকীয় বিপ্লেরণের উপর জোর দেয়। দুই বিশ্বযুদ্ধের অন্তর্বর্তী কালে (Inter-war periost) পণ্ডিতগণ আন্তর্জাতিক সমস্যাবলী বিশ্লেষণের ৬হিতে আন্তজাতিক আইন এবং সংগঠনের উপর বিশের জোর দেন। তাঁরা মনে করেন যে এই সমস্ত সমস্যা সমাধানের পথ লুকিয়ে আছে আন্তর্জাতিক সংগঠন তৈরি করার মধ্যে। তাই এই সময় আন্তজাতিক আইন ও সংগঠন নিয়ে বিশ্বে ব্যাপক সাড়া দেখা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। তৃতীয় বিশ্বের গীড়ৎ, সায়ারাবাসী শক্তিগুনির দূর্বলতা, মেরু-প্রবণতা, নিম্নেটি আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক শিবিরের বর্ষ-কেন্দ্রিকতা, আণবিক অস্ত্রের প্রসয়া, ঠান্ডা যুদ্ধ এবং নাতীত (Detente) প্রভৃতি আন্তমতিক সম্পর্ককে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে। সুতরাং দিন দিন এর পরিধি বেড়েই চলেছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়বস্তু:

এবার আমরা সংক্ষেপে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষমণপ্ত নিয়ে আগেয়না করি। ১৯৪৭ সালে প্রকাশিত বৈদেশিক সম্পর্কের দপ্তর একটা রিপোর্ট প্রকাশ করে। প্রসন বার্ক (Grayson Kick) সেখানে আন্তর্থীরিক সম্পর্কের আলোচ্য বিষষরূপে মোট পাঁচটি বিষয় যুক্ত করেন। সেগুলি হল

(১) রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রকৃতি ও পরিচালনা,

(২) রাষ্ট্রশক্তিকে নিয়ন্ত্রণকারী উপালাসসমূহ।

(৩) বৃহৎশক্তিগুলির আন্তর্জাতিক অবস্থান এবং তাদের বৈদেশিক নীতি।

(৪) আধুনিক আন্তজাতিক সম্পর্কের ইতিহাস।

(৫) একটি স্থায়ী এবং সুদগ্রেত বিশ্বব্যবস্থা তৈরি করা।

সাত বছর পর ভিনসেন্ট বেকার সাতটি বিষয়কে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অন্তর্ভুক্ত করেন। এগুলি হল: (১) আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রকৃতি এবং এর প্রধান শক্তিসমূহ, (২) আন্তর্জাতিক জীবনের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সংগঠন; (৩) জাতীয় পড়ির উপসানসমূহ। (৪) জাতীয় স্বার্থরক্ষা করার জন্য কৌশলসমূহ) (৫) জাতীয় পরিণা সীমাবদ্ধতা এবং নিয়ন্ত্রণ, (৫) এক বা বহু রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি, (৭) সাম্মাত্রিকালের আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী। ইতিহাস এবং অন্যান্য উপাদানসমূহের পটভূমিকা রাপে ঐতিহাসিক উপারনসমূহ। বেবার আরও করগুনি বিষয়ের উপর জোর দেন যেমন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের তত্ত্ব, নীতি নির্ধারণ ইত্যাদি। এই প্রসঙ্গে দেখা দরকার রাষ্ট্রগুলি কিভাবে তাদের সার্বভৌমন্ত্র এবং নিরাপরা রক্ষা করে এবং এই লক্ষ্যগুলি পূরণ করার জন্য ভারা কিভাবে আচরণ করছে, বিজ্ঞান ও আরিগরি বিল্যার উপ্রতি শিকাষে সমস্ত রকতের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলছে, বিভিন্ন ভোগ্যদ্রব্যের উৎপাদন এবং যোগ-এ সমস্ত কিছুই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আলোচনায় চলে আসে। উপরন্ত অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যে আচরণবাদের উৎপত্তি হয়েছে সেই আযোগ্যদ এখন আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে প্রভানিয় করছে। বেকার বলেছেন, এক কথায় বৃহত্তর অর্থে আমরা আন্তর্যাতিক সম্পর্বকে বলতে পারি । all social relations that transcend maional boundanesথাৎ পরীর সীমনার বহিয়ে সমস্ত রকমের সম্পর্ক।

ছোমেদ লাফেন (Joseph Funkel) আরও অনেক বিষয়কে এর অন্তর্ভুক্ত অয়েছেন যেমন রাষ্ট্রের সংকট, রাষ্ট্রীয় এবা অ-রাষ্ট্রীয় ভূমিকা পালনকারী কারক, পররাষ্ট্র নীতি, ২০টায় স্বার্থ, সংয়াত, প্রতিযোগিরা এবং সহযোগিতা, জাতীয় শক্তি, আন্তর্জাতিক সংগঠন প্রযুতি। এক কথায় আলা বলতে শারি, এর বিষয়বস্তু ব্যাপক এবং হটিল। বোন স্থানেই বা কিছুতে এর ছেন টানা যায় না-সমাজ এলা আলয় পরিবর্তনের সঙ্গে লাদজন্য রেখে এর বিষয়বস্তুর পরিধিও বাড়বে।

Share
Scroll to Top

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading