অপিনিহিতি কাকে বলে ?
শব্দ মধ্যস্থ কোনো ব্যঞ্জন ধ্বনির পর যদি ই-কার বা উ-কার থাকে তবে সেই ‘ই’ বা ‘উ’ যদি ব্যঞ্জন ধ্বনির আগে উচ্চারিত হয়ে যে ধ্বনি পরিবর্তন ঘটায় সেটাই হল অপিনিহিতি। “শব্দের মধ্যে ই’ বা ‘উ’ থাকলে, সেই ‘ই’ বা ‘উ’ যথা—নির্দিষ্ট স্থানের আগেই উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে
উঅপিনিহিতির দাহরণ:
- অগ্নিতে তাপ
- অগ্নিতে তাপ রয়েছে। এখানে তাপ হচ্ছে অগ্নির একটি বৈশিষ্ট্য যা অগ্নির সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত।
- সূর্যে আলো
- সূর্যে আলো রয়েছে। সূর্যের আলোর উপস্থিতি সূর্যের মাধ্যমেই বোঝা যায়।
- বৃক্ষে পাতা
- বৃক্ষে পাতা রয়েছে। বৃক্ষের শাখা-প্রশাখায় পাতা যুক্ত থাকে এবং তা বৃক্ষের অংশ হিসেবে উপস্থিত থাকে।
এই উদাহরণগুলোতে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রথম পদটি (যেমন, অগ্নি, সূর্য, বৃক্ষ) একটি নির্দিষ্ট জিনিস বা বস্তুর নির্দেশ করে, আর দ্বিতীয় পদটি (যেমন, তাপ, আলো, পাতা) প্রথম পদের একটি গুণ বা অংশ যা প্রথম পদের ওপর নির্ভরশীল বা তার সঙ্গে যুক্ত থাকে।
আরো পড়ুন-
ধ্বনি পরিবর্তনের কারণগুলি উল্লেখ করো। এর প্রধান ধারাগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
টীকা লেখো: সমীভবন, অপিনিহিতি।
উপসর্গযোগে তিনটি শব্দ গঠন করো।
সমাস কাকে বলে ? সমাস কয় প্রকার ও কী কী ? সমাসের যে-কোনো দুটি প্রকারভেদের বিস্তৃত আলোচনা করো।
প্রত্যয় কাকে বলে ? বাংলা প্রত্যয় বিষয়ে বিশদে আলোচনা করো।
বর্ণ বিপর্যয় বা ধ্বনি বিপর্যয় কাকে বলে ? বিপর্যাস বা বর্ণ বিপর্যয় বা ধ্বনি বিপর্যয় কাকে বলে
উদাহরণসহ সংজ্ঞা দাও- স্বরসংগতি, সংকর শব্দ, জোড়কলম, বর্ণ বিপর্যয়।
ধ্বনি পরিবর্তনের কারণগুলি উল্লেখ করে এর প্রধান ধারাগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে ? দৃষ্টান্তসহ আলোচনা করো।
বিভক্তি কাকে বলে ? শূন্য বিভক্তি বলতে কী বোঝ ? তির্যক বিভক্তি কাকে বলে